চরিত্রের প্রয়োজনে মেক আপ। আর সেই মেক আপ যেন চরিত্রকে একটা অন্য মাত্রা যোগ করে। কখনও সখনও আবার মেক আপ এতটাই ভাল হয় যে, চিনতে পারাটাই দুষ্কর হয়ে যায়। তেমনই কিছু বলিউডের ছাপ রেখে যাওয়া মেক আপের দিকে চোখ রাখা যাক।
‘হদ করদি আপনে’ ছবিতে গোবিন্দার মেক আপ দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। একটা মেক আপ নয়। কখনও বৃদ্ধের ভূমিকায়, কখনও নানান বয়সের মহিলাদের ভূমিকায়— গোবিন্দার এই সব লুক তৈরি করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিতেন মেক আপ আর্টিস্ট।
কমল হাসান মানেই তাঁর ছবিতে মেক আপ একটা আলাদা বিষয়। যেমন ‘চাচি ৪২০’ ছবিতে চাচির লুক। আবার ‘দশবতরম’ ছবিতে কমলের নানান অবতারে নানান লুক। আর এই লুকগুলোকেই ফুটিয়ে তুলতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেক আপ রুমেই কাটিয়ে দেন অভিনেতা।
মেক আপের দিকে রণবীর কপূরও কিছু কম যান না। ‘বরফি’ ছবির শুরুতেই বয়স্ক এক মানুষ ক্যামেরা অন করে নিজেরই নানান মুহূর্তের ছবি তুলছেন— অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, এ আবার কে? তিনি ছিলেন রণবীর কপূর। হালফিলের ‘সঞ্জু’-তেও তাঁর মেক আপে মশগুল দর্শকেরা।
লুক নিয়ে সচরাচর খুব একটা কাটাছেঁড়া করতে দেখা যায় না অমিতাভ বচ্চনকে। তবে ‘পা’ ছবিতে তাঁর লুকে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। আর এই লুকের জন্য বহুক্ষণ মেক আপ রুমে বসে থাকতে হত সিনিয়র বচ্চনকে। বিখ্যাত হলিউড মেক আপ আর্টিস্ট স্টিফেন ডুপুইস করেছিলেন অমিতাভের এই মেক আপ।
তিনি বলিউডের গ্রিক গড। প্রায় সব ছবিতেই তিনি হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। তাই স্পেশ্যাল মেক আপের অবকাশ হৃত্বিক রোশনের ছবিতে খুব একটা আসেনি। তবে এক বারই তিনি চমকে দিয়েছিলেন। আর সেটা ‘ধুম ২’ ছবিতে। ভিলেনের চরিত্রে এই ছবিতে বেশ কিছু নতুন লুকে দেখা গিয়েছিল হৃত্বিককে।
‘রবতা’ ছবিটিতে আবার চমকে দিয়েছিলেন অভিনেতা রাজকুমার রাও। ফিল্মের অ্যান্ড ক্রেডিটে রাজকুমারের নাম না দেখলে অনেকে হয়তো বুঝতেই পারতেন না ইনি রাজকুমার রাও। তবে এই লুকের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠিন কসরত করতে হত অভিনেতাকে। আরও বেশ কিছু ছবির জন্য লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে রাজকুমারকে।
তামিল ছবি ‘আই’ সুপারহিট হয়েছিল। সকলের নজর কেড়েছিল তামিল অভিনেতা বিক্রমের অভিনয়। এমনকি ‘আই’ নিয়ে এক সময়ে এত হইচই শুরু হয় যে, খোদ সিলভেস্টার স্ট্যালোনও দেখতে চেয়েছিলেন ছবিটি। আর বিক্রমের লুক এতটাই চমকপ্রদ হয়েছিল যে অনেকেই চিনতে পারেননি কিছু সিনে।