সুশান্তের পথেই কেন হাঁটতে চেয়েছিলেন ব্যর্থতায় ডুবে যাওয়া বিবেক? —ফাইল চিত্র।
অভিনয়জীবনের বেশ কিছুটা সময় অবসাদে ডুবেছিলেন বিবেক ওবেরয়। নেতিবাচক চিন্তা ঘিরে ধরেছিল তাঁকেও। ২০২০ সাল, আবাসনের ফ্ল্যাটে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহ মিলল যখন, আলোড়ন শুরু হয় বিবেকের মনে। এই পথই কি বেছে নিতে হবে? দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ‘সাথিয়া’র নায়ক।
কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটতে ঘটতে বেঁচে যায়। তার পুরো কৃতিত্ব স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা আল্ভাকে দিতে চান অভিনেতা। আর জানান, পরিবার পাশে ছিল বলেই চরম সিদ্ধান্ত শেষমেশ নিতে পারেননি।
এ দিকে কেরিয়ার যখন সাফল্যের শীর্ষে, জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভেবেছেন সুশান্ত। টেলিভিশন থেকে বড় পর্দায় এসে একের পর এক হিট ছবি। সেই পরিস্থিতিতেও ৩৪ বছরের জীবনে দাঁড়ি টেনে দিয়েছিলেন অভিনেতা। সে দিকে চেয়ে নিজের ব্যর্থ কেরিয়ারের বোঝা টানতে পারছিলেন না বিবেক। চারপাশের কঠিন বাস্তব তাঁকে গিলতে আসছিল। এক সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেন, “ইন্ডাস্ট্রি নির্মম জায়গা। সব সময় তোমাকে মেরে ফেলতে চাইবে। টিকে থাকাটাই যেন চ্যালেঞ্জ।”
দিনের পর দিন প্রার্থনা করে গিয়েছেন বিবেক। তাঁর কথায়, “প্রতি মুহূর্তে মনে হত, এখানেই সব থেমে যাক। আমার মৃত্যু হোক। আমার চারপাশে আমাকে শেষ করার চক্রান্ত চলছিল। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। প্রিয়ঙ্কার (স্ত্রী) জন্যই একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াই। আমার জন্য স্বর্গ রচেছিল ও।”
বিবেক বলে চলেন, অন্ধকারের গল্প। যন্ত্রণার অধ্যায়। তাঁর দাবি, “মিথ্যা রটনার পাহাড় জমে যায়, আমি সেই অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ প্রত্যক্ষ করেছি। আমার বিরুদ্ধে অন্য এক বাস্তব খাড়া করা হয়েছিল, যার সঙ্গে আমার কোনও মিল নেই। সুশান্তের যা পরিণতি হয়েছিল, আমারও তা-ই হবে, ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝলাম, নিজের সত্যিটুকু আঁকড়ে থাকলে ঠিক একসময় জোর ফেরে। নিজেকে নিজের থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারে না।”
জীবন আবার ছন্দে ফিরেছে। ওটিটি মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেছেন বিবেক। এম এক্স প্লেয়ারের ‘ধারাভি ব্যাঙ্ক’ ক্রাইম সিরিজ়ে শেষ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। খুব শীঘ্রই আর এক সিরিজে আত্মপ্রকাশ করবেন বিবেক।