এই মুহূর্তে গোটা দেশের প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়ার লেখাপড়ার খরচ বহন করছেন সোনু। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেতা হিসাবে বলিউডে চেনামুখ তিনি। কাজ করেছেন দক্ষিণী বিনোদন জগতেও। তবে অভিনয়ের থেকেও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেশি নামডাক সোনু সুদের। অতিমারির সময় থেকেই সমাজকল্যাণমূলক কাজের দিকে মন দিয়েছেন সোনু। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে বাড়ি পাঠানো থেকে শুরু করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচের ব্যবস্থা করা— নিজ দায়িত্বে সবটা করেছেন সোনু সুদ। তাঁর অবদানের কথা মনে করে বিহারে তাঁর নামে একটি বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিহারের কাটিহারে অনাথ বাচ্চাদের জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেন এক ইঞ্জিনিয়ার। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন সোনু। খবর, ওই স্কুলেরই আরও একটি বিল্ডিং তৈরির জন্য খরচ দিতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ২৭ বছর বয়সি ওই ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কুমার মাহাতোর সঙ্গে দেখা করেন সোনু সুদ। নিজের চাকরি ছেড়ে ১১০ জন অনাথ বাচ্চার লেখাপড়ার স্বার্থে ওই স্কুল চালু করেছিলেন বীরেন্দ্র। সোনুর নামেই ওই স্কুলের নামকরণ করেন বীরেন্দ্র। বীরেন্দ্রর সঙ্গে সময় কাটিয়ে স্কুলের প্রয়োজন সম্পর্কে জানেন সোনু। বীরেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলে স্কুলের আরও একটি বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। ওই ১১০ জন বাচ্চার খাওয়ার খরচের দায়িত্বও নিজের কাঁধে নিয়ে নেন সোনু। তাঁর মতে, ‘‘দারিদ্র ঘোচানোর অন্যতম উপায় শিক্ষার প্রসার। আমরা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের শিক্ষার সুযোগ দিতে চাই, যাতে পরবর্তী কালে ওরা ভাল চাকরির সুযোগ পায়।’’ শুধু প্রাথমিক শিক্ষাই নয়, উচ্চশিক্ষা নিয়েও ভাবনাচিন্তা রয়েছে অভিনেতার। এই মুহূর্তে গোটা দেশের প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়ার লেখাপড়ার খরচ বহন করছেন সোনু।