ধর্মেন্দ্র ও ববি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে বলিউডে হাতেখড়ি ববি দেওলের। তার পরে ‘গুপ্ত’, ‘সোলজার’, ‘বিচ্ছু’, ‘অজনবি’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তারকাসন্তান হওয়ার সুবিধা, সঙ্গে একের পর এক সফল ছবি— অভিনয় জীবনের গোড়ার দিকে সাফল্যের মুখ দেখলেও তার পরে একটা সময় দীর্ঘ দিন হাতে কোনও কাজ ছিল না ববির। কাজ না পেয়ে ও সাফল্যের মুখ না দেখে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। সেই সময় নাকি মদের নেশা পেয়ে বসেছিল ববিকে। সম্প্রতি ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ এসে নিজের সেই কঠিন সময়ের বিষয়ে মুখ খোলেন ববি। ছেলেকে নেশার অন্ধকারে তলিয়ে যেতে দেখেও তাঁকে আটকাননি ধর্মেন্দ্র!
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর অষ্টম সিজ়নের দ্বিতীয় পর্বে কর্ণ জোহরের কফি-আড্ডায় উপস্থিত হয়েছিলেন ববি ও সানি দেওল। সেখানেই ববি জানান, কাজ না পেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ববি বলেন, ‘‘আমি নিজেই এক সময় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি বাড়িতে বসে সবাইকে শাপশাপান্ত করতাম আর নিজেকে প্রশ্ন করতাম, কেন আমাকে কেউ কাজ দিচ্ছেন না! আমার মধ্যে তখন কোনও ইতিবাচক ভাবনাই ছিল না।’’ ছেলের এমন কঠিন সময়েও তাঁকে নেশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কোনও পদক্ষেপই করেননি ধর্মেন্দ্র। কিন্তু কেন? উত্তর দিতে গিয়ে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘আমি নিজেই কখনও সিগারেট খাচ্ছি, কখনও মদে ডুবে আছি। আমি আর কী করে ববিকে বারণ করব!’’ ধর্মেন্দ্র আরও বলেন, ‘‘ববি সবচেয়ে ছোট, ও সবার আদরের। কিন্তু ববি সব সময় ভাবত আর বলত যে, আমি নাকি সানিকে বেশি ভালবাসি। আমি ওকে বোঝাতেই পারিনি যে, তা সত্যি নয়।’’
কঠিন সময় কাটিয়ে ‘আশ্রম’ সিরিজ়ের মাধ্যমে সাফল্যে ফেরেন ববি। রণবীর কপূর, অনিল কপূর ও রশ্মিকা মন্দনার সঙ্গে ‘অ্যানিমাল’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে সন্দীপ বঙ্গা রেড্ডি পরিচালিত এই ছবি।