শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন ২৯ নভেম্বর। চলতি বছরে ওই দিন তিনি ৮৪। সে দিন বাবাকে ছেলে স্মরণ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র ছবি পোস্ট করে। ১৯ ডিসেম্বর ছেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। শনিবার তিনি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন। আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে তার পরেই অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘জীবনের থেকে কিছুই চাইনি। তাই যা পেয়েছি, যা পাব, পুরোটাই বোনাস!’’
অতিমারি না হলে ৫০-এর জন্মদিন মনে রাখার মতো করেই উদযাপন করতেন অভিনেতা। কারণ, ডিসেম্বর উৎসবের মাস। উদযাপনের মরশুম। ‘‘আবহাওয়াটাই প্রাণ খুলে উপভোগ করার মতো। ইচ্ছে ছিল খোলা জায়গায় বড় করে, সমস্ত বন্ধুদের নিয়ে উদযাপন করব। অতিমারি সব ভেস্তে দিল’’, আফসোস শাশ্বতর। যদিও খাদ্যরসিক অভিনেতার রসনাতৃপ্তিতে একটুও টান পড়তে দেননি স্ত্রী মহুয়া, একমাত্র মেয়ে হিয়া।
কী ভাবে জন্মদিন উদযাপন হল? বাড়ির রীতি মেনে ভাতের পাতে ছিল এলাহি বাঙালি রান্না। পাঁচ রকম ভাজা, সুক্তো, ডাল, মাছ, আলাদা করে মাছের মাথা, মাটন, চাটনি, মিষ্টি আর জন্মদিন স্পেশ্যাল পায়েস। প্রতি বছরের মতো মহুয়া এ বারেও নিজে্র হাতে পায়েস রেঁধেছিলেন।
A post shared by Saswata Chatterjee (@saswatachatterjeeofficial)
বিকেলে ছিল ছোট্ট গেট টুগেদার। মহুয়ার কথায়, দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তরাঁয় এসেছিলেন সস্ত্রীক পরিচালক অরিন্দম শীল, বিক্রম ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, ড্যানিয়েল, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। যদিও অতিমারির কারণে উদযাপনে যোগ দিতে পারেননি সস্ত্রীক যিশু সেনগুপ্ত, জয়া শীল। ওই রেস্তোরাঁতেই হিয়ার অর্ডার করা চকো ট্রাফল কেক কাটেন শাশ্বত। টেবিলে ততক্ষণে হাজির স্টার্টার ফিশ ফিঙ্গার, চিলি পর্ক, গ্রিলড বাটার প্রন, টফ্যু, পিৎজা। ডিনারে ছিল চাইনিজ ফুড।
আরও পড়ুন: কোমরে ব্যথা নিয়ে রান্নবান্না, বাসন মাজা, বিধ্বস্ত শ্রীলেখা
আরও পড়ুন: অবকাশে পুরুলিয়া সফর, আনন্দে সন্দীপ্তা গেয়ে উঠলেন ‘সোনা সোনা’