সপরিবার বিপাশা বসু। ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মা হন বিপাশা বসু। তাঁর ও কর্ণের সংসারে আসে দেবী বসু গ্রোভার। জন্মের তিন দিনের মাথায় অভিনেত্রী জানতে পারেন তাঁর সন্তান ‘ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট’-এ ভুগছে। অর্থাৎ একরত্তি দেবীর হৃদ্যন্ত্রে ছিদ্র রয়েছে। তার পর থেকেই ছোট্ট দেবীকে নিয়ে শুরু হয় বিপাশার লড়াই। তিন মাস বয়সে পা দিতেই ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছিল ছোট্ট দেবীর। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভিজে যায় অভিনেত্রীর চোখ। যদিও মেয়ের এই রোগের কথা আগে জানাননি বিপাশা। দেবীর ১ বছর পূর্ণ হতেই ছোট্ট দেবীর লড়াইয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন তিনি। এ বার মেয়েকে ‘ফাইটার’–এর তকমা দিলেন কর্ণ।
অসুস্থতা নিয়ে জন্ম হলেও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর ছোট্ট দেবী। বিপাশা জানান, মেয়ের খুব অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন অভিব্যক্তি নাকি অনুকরণ করার চেষ্টা করত। ঠিক বাবা-মায়ের মতো। তবে অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময়টা বেশ ভেঙে পড়েছিলেন দম্পতি। এখন সুস্থ ছোট্ট দেবী। পায়ে পায়ে বয়স তার ১৪ মাস।
মেয়ে একটু বড় হতেই ফেলা আসা কঠিন দিনগুলির লড়াইয়ের কথা তুলে ধরলেন কর্ণ। সম্প্রতি ‘ফাইটার’ ছবিতে অভিনয় করেছেন বিপাশার স্বামী। তবে তাঁর চোখে মেয়ে দেবীই সবথেকে বড় ‘লড়াকু’। কর্ণের কথায়, ‘‘দেবীর হৃদ্যন্ত্রের দুটি ফুটো। খবরটা জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিল বিপাশা। প্রথমে পরিবারের বড়দের কথা ভেবে বিষয়টা লুকিয়ে গিয়েছিলাম। গোটা লড়াইটা আমরা লড়েছিলাম একে-অপরের পাশে থেকে। আমাদের মেয়ে সত্যিই লড়াকু বাচ্চা। সব অর্থই ও দেবী। হৃদ্যন্ত্রের দুটি ফুটো অস্ত্রোপ্রচার করে ঠিক করা হয়েছে। ও এখন ভাল আছে, সুস্থ আছে। ও আমার ‘ফাইটার’।”