সিনেমায় অভিনয় করুন, বা না করুন, বিপাশা বসু সবসময়েই শিরোনামে। যে সব বঙ্গতনয়া বলিউড শাসন করেছেন, বিপাশা তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে।
মডেলিং থেকে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন বিপাশা। ২০০১ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি ‘আজনবী’। এক বছর পরে ‘রাজ’-এর সাফল্য জনপ্রিয়তার প্রথম সারিতে নিয়ে আসে বিপাশাকে।
কেরিয়ারের বিভিন্ন সময়ে বিপাশার জীবনে এসেছেন একাধিক পুরুষ। সম্পর্কের কথা বেশির ভাগ সময়ই গোপন করেননি তিনি।
মডেলিং জগতে থাকার সময়ে বিপাশা নাকি ঘনিষ্ঠ ছিলেন মিলিন্দ সোমনের। শোনা যায়, কোনও এক বার মডেলিং করতে গিয়েই পরিচয় দু’জনের। মিলিন্দ তখনই প্রতিষ্ঠিত সুপারমডেল। অন্য দিকে মডেল হিসেবে বিপাশা পরিচিত হচ্ছেন।
তবে মিলিন্দ-বিপাশা সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মুচমুচে গসিপ বেশি গুঞ্জরিত হওয়ার আগেই দু’জনে সরে আসেন সম্পর্ক থেকে।
সুপারহিট ছবি ‘রাজ’-এ বিপাশার নায়ক ছিলেন ডিনো মোরিয়া। তবে তার আগে থেকেই অন্তরঙ্গ ছিলেন দু’জনে। সম্পর্কের কথা স্বীকারও করতেন তাঁরা।
১৯৯৬ থেকে ছ’বছর স্থায়ী ছিল তাঁদের প্রেম। ২০০২ সালে দু’জনের পথ আলাদা হয়ে যায়। কেন তাঁদের প্রেম ভেঙে গিয়েছিল, সে কথা কখনও প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখনও আছে তাঁদের মধ্যে।
বলিউডে এখনও অবধি যতগুলি জুটি নিয়ে কথা হয়েছে, জন আব্রাহাম-বিপাশা বসু তাদের অন্যতম। ডিনো মোরিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ‘জিসম’-এর সহঅভিনেতা জন আব্রাহামের প্রেমে পড়েন বিপাশা।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১১ সালে ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। এই খবরে হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের অগণিত ভক্তের।
কেন তাঁদের বিচ্ছেদ হল, তা নিয়ে বিপাশা কোনওদিম মুখ খোলেননি। তবে জন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি সে সময় বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু বিপাশা আগ্রহী ছিলেন বিয়ে করে সংসার শুরু করতে।
এর পর বিপাশার নাম শোনা গিয়েছিল তাঁর আর এক সহঅভিনেতাকে ঘিরে। ২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দম মারো দম’। এই ছবিতে বিপাশার বিপরীতে ছিলেন রানা ডাগ্গুবতী। তিনিও নাকি বিপাশার প্রণয়ী ছিলেন।
তবে খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী ছিল তাঁদের সম্পর্ক। শোনা যায়, বিপাশাকে ছেড়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান ‘বাহুবলী’-র বল্লালদেব। তবে তাঁদের সম্পর্কের কথা কোনওদিন স্বীকার করেননি রানা।
পর পর দু’টি ব্রেক আপ-এ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ‘ওমকারা’-র নায়িকা। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই নাকি তিনি সেফ আলি খানের কাছাকাছি এসেছিলেন।
২০০২-এ মুক্তি পেয়েছিল সেফ-বিপাশার ছবি ‘রেস টু’। সে সময় সদ্য ভেঙে গিয়েছে বিপাশার প্রেম। অন্য দিকে সেফ-ও তখন বিবাহবিচ্ছিন্ন। ফলে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা যেতে দেরি হয়নি। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে যা রটেছে, সবই গুজব।
এর পর টিনেসল টাউনের বাতাসে ভেসে ওঠে বিপাশার সঙ্গে হরমন বাওয়েজাকে নিয়ে গুঞ্জন। তবে বেশিদিন সে কথা গুঞ্জনের পর্যায়ে থাকল না। বিপাশা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান হরমনের সঙ্গে তাঁর নতুন সম্পর্কের কথা।
তার ছ’মাস পরে যখন কনের সাজে বিপাশাকে দেখবেন বলে দিন গুনছেন তাঁর ভক্তরা, তখনই আবার ভাঙনের খবর। বিপাশা জানালেন, তাঁর সঙ্গে হরমনের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে এও জানান, বিচ্ছেদের কারণ প্রকাশ করবেন না। সে কথা গোপন থাকবে তাঁদের দু’জনের মধ্যেই।
অবশেষে বং বিউটি বিপাশা গাঁটছড়া বাঁধলেন ২০১৬-এ। ‘অ্যালোন’ ছবির সহকর্মী কর্ণ সিংহ গ্রোভারকেই বেছে নিলেন জীবনসঙ্গী হিসেবে।
বিপাশার প্রথম বিয়ে হলেও এটা ছিল কর্ণের তৃতীয় বিয়ে। তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী শ্রদ্ধা নিগম। তাঁদের এক বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৯-এ। কর্ণ ২০১২ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনিফার উইনজেটকে। দু’বছর পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কর্ণের সঙ্গে বিপাশার দাম্পত্য এখন ভরপুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবি ভেসে যায় অনুরাগীদের শুভেচ্ছায়। (ছবি: আর্কাইভ ও ফেসবুক)