কণ্ঠ ছাড়লেন বিদীপ্তা। গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
১ সেপ্টেম্বর মহামিছিলের ডাক দিয়েছে শহরবাসীর একাংশ। যদিও সেই মিছিলের মুখ হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে টলিপাড়ার বেশ কিছু তারকাকে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম সোহিনী সরকার, বিদীপ্তা চক্রবর্তী। এ ছাড়াও রয়েছেন নাট্যকর্মী মধুরিমা গোস্বামী। এ বার সেই মিছিল নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন বিদীপ্তা, সোহিনীরা। এই মহামিছিলের নাম ভাঙিয়ে নাকি চলছে টাকা তোলার কাজ। এই প্রসঙ্গে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিদীপ্তা। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন ৫ সেপ্টেম্বরের সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির পর আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা।
মিছিলের নামে টাকা তোলার পিছনে ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বিদীপ্তা। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমাদের মিছিলটা ভন্ডুল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা করছেন অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। যদিও কে বা কারা আছে এর পিছনে তা এখনও ধরতে পারিনি আমরা।” এই মিছিলের মূল দাবি, সিবিআইকে আরজি করের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক ও বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেফতার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দায়িত্বহীনতা এবং যারা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ ও খুনের নিরপেক্ষ বিচার করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
টলিপাড়ার একাংশ যখন আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন, তখন আবার মৌন রয়েছেন অন্য একটি অংশ। ইতিমধ্যেই অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নাম বার বার ফিরে এসেছে। যদিও অভিনেতার স্ত্রী মধুরিমা এই মিছিলে সর্বতোভাবে সঙ্গে রয়েছেন সোহিনী-বিদীপ্তাদের। যদিও এই সময় আর নীরব থাকতে রাজি নন বিদীপ্তা। তিনি নেতাজির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। নেতাজি এটাই শিখিয়ে গিয়েছেন। আসলে বিপ্লবটা এ ভাবেই আসে। এখনও খুব ভদ্র ভাবে রয়েছি। কোনও হিংসা চাই না। ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। তবে ৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী হয় দেখি। সুফল না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে হবে।”
গত কয়েক দিন ধরে যে বিতর্ক ফিরে ফিরে এসেছে, তা হল প্রতিবাদ মিছিলে কি রাজনীতির ইন্ধন রয়েছে? না কি পুরোটাই অরাজনৈতিক? এই প্রসঙ্গে বিদীপ্তার সাফ জবাব, ‘‘অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না। আমি যদিও রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাই, তবে তা ভীষণ ভাবে রাজনৈতিক। দলীয় রং ও পতাকা ছাড়াও রাজনীতি হয়। সেই রাজনীতির কথা বলা হচ্ছে। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র ভুল করলে প্রশ্ন করার অধিকারও রাজনীতিরই অংশ।”