আমার ফিগার কিন্তু এখনও পারফেক্ট নয়, বলছেন ভূমি

ছিলেন ৮৯ কেজি। সেখান থেকে ৫৭ কেজিতে নিজেকে নিয়ে এসেছেন ভূমি পেডনেকর! দ্বিতীয় ছবি রিলিজের আগে মুম্বইয়ে আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি তিনি। ছিলেন ৮৯ কেজি। সেখান থেকে ৫৭ কেজিতে নিজেকে নিয়ে এসেছেন ভূমি পেডনেকর! দ্বিতীয় ছবি রিলিজের আগে মুম্বইয়ে আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি তিনি।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৭ ০০:০০
Share:

ভূমি পেডনেকর।

প্র: ‘দম লগাকে হইশা’র পর কতটা পরিবর্তন এল জীবনে?

Advertisement

উ: অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল। রোজ ঘুম থেকে উঠে যখন সেটে যাওয়ার জন্য তৈরি হই, একটা অদ্ভুত অনুভূতি আসে। তবে আমার ব্যক্তিগত জীবনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পেশাগত জীবন বদলেছে। আমাকে লোকজন দেখে চিনতে পারে। ‘দম লগাকে...’র পর যতটা না পারত, ‘টয়লেট: এক প্রেমকথা’ করতে গিয়ে দেখছি, পরিচিতি আরও বেড়েছে।

প্র: প্রথম ছবির সময় ভয় হয়নি, যদি ফের রোগা হতে না পারেন?

Advertisement

উ: ‘দম লগাকে হইশা’র রিলিজের সময়েই আমি ওজন কমাতে শুরু করে দিয়েছিলাম। আর নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল। ওজনের জন্য আমার জীবনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। মোটা থাকার সময় যে পোশাকগুলো পরতাম, এখনও সেগুলোই পরি। মোটা বলে ফ্যাশনেবল পোশাক পরব না এমন নয়। ছেলেরা কিন্তু তখনও আমার দিকে তাকাত (হাসি)!

প্র: ছবিতে অভিনয় করতে গেলে রোগা হওয়াই তো প্রাথমিক শর্ত।

উ: নিশ্চয়ই। ‘দম লগাকে...’তে ওই চরিত্রটার কারণেই মোটা হতে হয়েছে। জানতাম, এর পর অন্যান্য চরিত্র করতে গেলে রোগা হতে হবে। এক বছর সময় নিয়ে ওজন কমিয়েছি। কোনও তাড়াহুড়ো করিনি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দশ বছর আগে হয়তো এই ওজন বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে পারতাম না। পরিচালকেরাও জানতেন, আমি ওজন কমিয়ে ফেলবই। তাই তাঁরাও কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দেননি। তবে হ্যাঁ, আমার ফিগার কিন্তু এখনও পারফেক্ট নয় (হাসি)!

প্র: অক্ষয়কুমারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

উ: প্রথম দিনই সেটে বলে দিয়েছিলেন, আমরা খুব মজা করে কাজ করব। উনি সব সময় হাসিখুশি থাকতে পারেন। এটা একটা মস্ত গুণ। আমাদের মতো নতুনদের কাছে ওঁর সঙ্গে কাজ করাটা একটা অভিজ্ঞতার মতো। ওঁর ছবি দেখে বড় হয়েছি। অক্ষয়কুমার মানে তখন আমার কাছে ‘টিপ টিপ বরসা পানি’, ‘তু চিজ বড়ি হ্যায়’, অ্যাকশন স্টার...এই সব। ভারসোভাতে আমার বাড়ির কাছে একবার অক্ষয়কুমার শ্যুটিং করতে এসেছিলেন। তাতেই আমাদের কী উত্তেজনা! এখন ভাবলে হাসি পায়। কে জানত, একদিন আমি ওঁর সঙ্গেই কাজ করব।

আরও পড়ুন: ভোগ বিউটি অ্যাওয়র্ডস: অ্যান্ড দ্য ট্রফি গোজ টু...

প্র: ‘টয়লেট: এক প্রেমকথা’র বিষয় সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই একমত?

উ: তা তো বটেই। আমি মুম্বইয়ের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম, রাস্তাঘাটে, রেল লাইনের ধরে কালো ছাতা নিয়ে সবাই বসে রয়েছে। এই ছবিটা করতে গিয়ে অনেক সমীক্ষা করেছে আমাদের টিম। সেগুলো দেখে আমার মনে হয়েছে, স্বচ্ছ ভারত অভিযান হওয়ার আগে মানুষের মনের স্বচ্ছতার অভিযান হওয়া উচিত।

প্র: অবসর সময়ে কী করেন?

উ: মাকে জড়িয়ে ধরে আদর করি (হাসি)! বাড়ি থাকার সময়ই তো পাওয়া যায় না। এ ছাড়া বই পড়তে খুব ভালবাসি। মালা সেনের লেখা ‘ব্যান্ডিট কুইন’ পড়ছি এখন। টিভি দেখি। আমার একটা শখের কথা শুনলে আপনারা অবাক হবেন। সেটা হল, সময় পেলেই আমার ক্লাস টেনের বইগুলো বার করে পড়ি। ওই সময়ের বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। যেগুলো এত বছর পরেও পড়তে খুব ভালো লাগে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement