নবমিতা-ভাস্বর। ফাইল চিত্র।
গাড়ির মধ্যে দু’জনে। হাসিমুখে সেলফি। কোথাও যাচ্ছেন বা ফিরছেন কোনও জায়গা থেকে। ভাস্বরের হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিটা দেখেছেন? যাঁরা মিস করেছেন তাঁরা দেখতে পেলেন না, ভাস্বর আর নবনীতা চট্টোপাধ্যায় এ ভাবেই ফের একান্তে, একসঙ্গে!
মঙ্গলবারের ব্যস্ততা সরিয়ে দুপুরের বেশ কিছুটা সময় তাঁরা কাটালেন ভজহরি মান্না রেস্তরাঁয়। ছবিটা আগের না এখনকার? কোনও বিশেষ দিন ছিল? কৌতূহল মেটালেন ভাস্বর, খাতায়-কলমে তেমন কিছুই নেই। জানালেন, দু’জনের পছন্দের মেনুর মিলটা এখনও রয়ে গিয়েছে। ফলে, যৌথ মেনু অর্ডারে ছিল পোলাও, মাংস, ফিশফ্রাই। যদিও দিন, তারিখ, মাস অনুযায়ী তাঁরা আর এক ছাদের নীচে নেই গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে।“অনেক দিন দেখা-সাক্ষাৎ নেই। লকডাউনের মধ্যেই সময় কাটানোর ছুতো খুঁজছিলাম। সেই পর্ব মিটতেই তাই আজ দু’জনে বেরিয়ে পড়লাম” হালকা গলায় ভাস্বরের যুক্তি।
শুধুই কিছুটা সময় কাটাতে? ভাস্বরের দাবি, আইনি বিচ্ছেদ যেমন তাঁদের হয়নি তেমনি যোগাযোগও বন্ধ হয়নি কোনও দিন। এর আগেও প্রায়ই তাঁরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এটা নতুন কিছু নয়। তাঁদের মধ্যে আজও বন্ধুত্ব অটুট।
অথচ গত বছরের পঞ্চম বিবাহ বার্ষিকীতে শোনা গিয়েছিল, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। নবমিতা নাকি শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে পারছেন না। স্বামীর জীবনধারার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও অসুবিধে হচ্ছে তাঁর। ভাস্বর নাকি স্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, আবার বিয়ে করার। যদিও গোটা ব্যাপারটা তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভাস্বর। জানিয়েছিলেন, তাঁর কানেও এসেছে এই সব কথা। অশৌচ থাকায় গত বছর শ্বশুরবাড়িতে লক্ষ্মীপুজোয় দেখা যায়নি তাঁকে। পুজোর সময়ে বাবার সঙ্গে একা ঘুরতে গিয়েছিলেন। এর পরেই আরও বেশি করে বিচ্ছেদের গুজব রটে!
ভাস্বরের হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি
একই সঙ্গে নবমিতা তখন এও বলেছিলেন, “আমার বিয়ের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। তাই সেপারেশনের পথেই এগিয়েছি।” যদিও ভাস্বরের কথায়, “সেপারেশনের পেপার জমা দিয়েছি। আমাদের হাতে এক বছর সময় আছে। এখনও ডির্ভোসের পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিইনি।”
আরও পড়ুন: নজরে রিয়ার কল লিস্ট, রহস্যময় ‘এইউ’-কে খুঁজছে সিবিআই
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের শরীর খারাপ নিয়ে দয়া করে কেউ গুজব ছড়াবেন না: মান্যতা
তাহলে কি সেই তেতো ভাব কেটেছে দু’জনের? ভাস্বরের কথায়, “টানা এক সঙ্গে থাকতে থাকতে অনেক কিছু ভাল না লাগা তৈরি হয়। অনেক সমস্যা তৈরি হয়। স্পেস না থাকার জন্য। ফলে, আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু সম্পর্ক ছিঁড়িনি। দুই বাড়িতেই যাতায়াত রয়েছে। আদানপ্রদান রয়েছে। সেই সঙ্গে স্পেস আসায় সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে”।
আবার এক ছাদের নীচে আসছেন? হাসতে হাসতে ভাস্বর জানালেন, তাড়াহুড়োর কিচ্ছু নেই। আমরা এই নতুন সম্পর্ককে উপভোগ করছি। তাই এ ভাবেই আরও বেশ কিছুটা পথ চলতে চাই। কারণ, স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তিক্ত সম্পর্কের চেয়ে ভাল, বন্ধু হিসেবে আলাদা থাকা, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন উদাহরণ রয়েছে।