শুভ চক্রবর্তী
লকডাউনে হাতে কাজ নেই। বিধবা মায়ের কাছ থেকে শুনতে হয়, ‘‘৩১ বছর বয়সেও আমার ছেলে বেকার।’’ মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছে তাঁকে। ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যার চেষ্টা অভিনেতা শুভ চক্রবর্তীর। ‘মঙ্গলচণ্ডী’, ‘মনসা’-র মতো একাধিক বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করেছেন শুভ।
বুধবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে একের পর এক ঘুমের ওষুধ খাচ্ছিলেন তিনি। ভিডিয়োর উপরে লেখা ‘আই কুইট’। অর্থাৎ আমি হার মেনে নিলাম। একইসঙ্গে তিনি গিটার বাজিয়ে গানও গাইছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানসিক অবসাদ গ্রাস করলে মানুষ বাঁচতে চায় না। আমি কাউকে দেখানোর জন্য করছি না। আমি সত্যিই আর বাঁচতে চাই না। সমস্ত ওষুধ আমি চিবিয়ে খাচ্ছি।’’
ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া বা হাত কাটার মতো পন্থা তাঁর ভাল লাগে না বলেও জানিয়েছেন। বেশি ঘুমের ওষুধ খেলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন শুভ। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এতগুলো ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি তিনি বেঁচে থাকেন, তবে তিনি ফের ফেসবুক লাইভে আসবেন।
জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারী স্থানীয় থানায় খবর দিতেই পুলিশ ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুভর বাড়ির ঠিকানা বার করেছে। অভিনেতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে বাঁচাতেও পেরেছে পুলিশ। বাড়িতে শুভর মা ও দিদি ছিলেন। তাঁরা এ সব বিষয়ে কিছুই জানতেন না।