মনামী ঘোষ।
অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আকাশের ভাই নীল ও ইরাবতীর বোন তিস্তার বিয়ে হয়ে যায়। এদিকে সম্রাট লাহিড়ি অনেক চেষ্টা করেও ইরাবতীকে আয়ত্তে আনতে পারে না। নিজের বোন শালিনীকে ব্যবহার করে ইরাবতীর সংসারে বিপদ ডেকে আনার চেষ্টা করেসম্রাট।তিস্তার সঙ্গে বিয়ের পরে শালিনী নীলকে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানায়। নীল বোঝে না যে এটাও সম্রাটের চক্রান্ত। দেখা করতে যায় সে। ঘটনাচক্রে শালিনীর সিঁথিতে নীলের হাত থেকে সিঁদুর পড়ে যায়। তিস্তা নাকি শালিনী, কাকে অস্বীকার করবে নীল? এই ত্রিকোণ নিয়েই শুরু হয় ‘ইরাবতীর চুপকথা’-রগল্পের টানাপড়েন। নীলকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে সম্রাট। সম্রাট আসলে কব্জা করতে চায় ইরাবতীকে।এদিকে ইরাবতী-আকাশের ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়।কী করবে এখন ইরাবতী?
ইরাবতীর গল্প শোনালেন মনামি ঘোষ, “ইরা পাঁচ বছর সম্রাট লাহিড়ির হাসপাতালেকাজ করত।সম্রাট ইরার প্রেমে পাগল। ইরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেনিজের সংসারে ফিরে গেছে। ইরা-আকাশের আবার বিয়ে হচ্ছে। তারমধ্যে সম্রাট নানারকমভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। সম্রাট ইরাকে রোজ কফি খাওয়াতো।কফিতে কিছু মেশানো থাকতো।ফলে হঠাৎ হঠাৎ ইরা সব ভুলে যাচ্ছে। ফলে বড় রকমের সমস্যাও তৈরি হচ্ছে ইরার জীবনে।এখন আবার শালিনীকে ব্যবহার করে ইরার সংসারে ঢোকার চেষ্টা করছে সম্রাট।ইরাবতী ধীরে ধীরে একটা চক্রান্তর শিকার হচ্ছে।”
‘ইরাবতীর চুপকথা’-র টিআরপি রেটিং সমসময় কমের দিকেই থাকে কেন? গল্পের নায়ক আকাশ, মানেসৈয়দ আরেফিন ব্যাখ্যা করলেন, “রাতের স্লট অনুযায়ী টিআরপি ঠিকঠাক আছে।রাত এগারোটায় সিরিয়ালটা টেলিকাস্ট হয়। বেশ জাঁকিয়েশীত পড়েছে গ্রামের দিকে। এত রাতে দর্শক একটু কমে যায়। কিন্তু ওই স্লটে আমরাই স্লট লিডার (একই সময়ে চলা শোগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ টিআরপি)। স্টারের ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে মাঝে ‘শ্রীময়ী’ স্লট লিডার ছিল। এখন কিন্তু আমরাই স্লট লিডার।”
আরও পড়ুন: স্কুলের অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্যা কন্যার অসাধারণ অভিনয়ে আপ্লুত সোশ্যাল মিডিয়া
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-ও তো স্লট লিডার? আরেফিন, “সেটা ঠিক জানি না। কিন্তু চ্যানেল থেকে আমাকে যা বলা হয়েছে সেটাই বলছি। ওদের কাছে সমস্ত ডেটা থাকে।”
ইরা-আকাশ জুটি
ইরা-আকাশ জুটি অনুরাগীদের কতটা পছন্দের? আরেফিন, “ইরা-আকাশকে ফ্যানরা সবসময় একসঙ্গে দেখতে চায়। ইরা-আকাশের গল্প চললেই স্লট অনুযায়ী টিআরপি হাই হয়ে যায়। ওদের দেখানো না হলে টিআরপি একটু পড়ে। কিন্তু সমসময় ইরা-আকাশকে দেখানো সম্ভব নয়, আরও অনেক চরিত্রনিয়েই তো গল্প।”