সোমবার শুটিং শুরুর আগে শুটিং ফ্লোরে রাহুল মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার রাতেই ফেডারেশন (ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইর্স্টার্ন ইন্ডিয়া) তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল। সেই মতো, মঙ্গলবার সকাল থেকে এসভিএফ-এর পুজোর ছবির শুটিং শুরু হল। লোকেশন সেই টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো, পরিচালকের আসনে রাহুল মুখোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকাল সাতটায় শিল্পীদের কল টাইম দেওয়া হয়েছিল। শুটিংও শুরু হয় নির্ধারিত সময়েই। প্রথম দিন অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং প্রিয়ঙ্কা সরকারের কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়েছে। ছিলেন সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফ্লোরে ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদারের সঙ্গে গল্পও করতে দেখা গিয়েছে অনির্বাণকে।
সন্ধ্যা ছ’টায় প্যাকআপ হয়েছে। তার পরেই রাহুলকে পাওয়া গেল ফোনে। শুটিং ফ্লোরে ফিরে কী মনে হচ্ছে তাঁর? আনন্দবাজার অনলাইনকে রাহুল বললেন, ‘‘অসাধারণ! ফ্লোরে ফিরে আমার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি, শুরু থেকে যাঁরা আমার পাশে ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে আজ ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
শুটিং ফ্লোরে সৌমিক হালদারের সঙ্গে আড্ডায় অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক সপ্তাহ আগে ফ্লোরে এসেছিলেন রাহুল। কিন্তু টেকনিশিয়ানরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। মঙ্গলবার তাঁরাই রাহুলকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। রাহুল বললেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু আমরা তো একটাই পরিবারের অংশ। স্বরূপদাকে (ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস) ধন্যবাদ। তাঁর সঙ্গে ফেডারেশনের পুরো দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’
গত মাসে ডিরেক্টর্স গিল্ডের সুপারিশে ফেডারেশন রাহুলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার পর প্রতিবাদে পরিচালকদের গিল্ড কর্মবিরতির ডাক দেয়। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে তিন দিন পর টলিপাড়ায় শুটিং শুরু হয়। কিন্তু তার পরেও রাহুলকে পরিচালক হিসেবে মেনে নিতে নারাজ ছিল ফেডারেশন। সোমবার রাতে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, রাহুলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাহুল জানালেন, এই মুহূর্তে শিল্পীদের ডেট নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী ১৪ অগস্ট ছবির পরবর্তী শুটিং।