ধারাবাহিক মানেই অবাস্তব দৃশ্য?
ছবি বা ধারাবাহিকের দৃশ্য এবং গল্প নাকি ক্রমশ অবাস্তব হয়ে উঠছে? নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি দৃশ্য সে দিকেই আঙুল তুলছে। এবং সেই সব কাণ্ডকারখানা দেখে এককাট্টা ছোট পর্দার দর্শকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্রমশ নাকি গল্পের গরু গাছ ছাড়িয়ে আকাশ ছুঁতে চাইছে!
এ সব কথা সত্যি নাকি? তা হলে চোখ রাখা যাক, ভাইরাল হওয়া কয়েকটি দৃশ্যে। বেশ কিছু দিন ধরেই চর্চায় ‘আয় তবে সহচরী’র একটি দৃশ্য। সহচরীকে সরিয়ে সমরেশ পরকীয়ায় সিলমোহর দিতে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন ছাত্রী দেবিনাকে। আচমকা সমরেশের ভাই অরণ্য দাদাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে জোর করে মালাবদল সেরেছে দেবিনার সঙ্গে। একই ভাবে সিঁদুরও পরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছিল টিপু-বরফির বিয়ের সময়েও। সইকে বাঁচাতে বরফি জোর করে ঢুকে পড়েছিল বিয়ের আসরে। তার পর চু কিতকিত খেলতে খেলতে বিয়ে করে নেয় সমরেশ-সহচরীর ছেলেকে!
ধারাবাহিক ‘পিলু’তে উড়ন্ত মালা, সিঁদুরে আহির-পিলুর বিয়ে তো আছেই। ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’তে এক গ্লাস দুধে আরশোলা ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও দেখানো হয়েছিল। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসাকে দেবী জ্ঞানে পুজো করেছে গৌরী, ধারাবাহিক ‘গৌরী এল’য়। এ সব দেখতে দেখতে ক্লান্ত ছোট পর্দার দর্শকেরা।
দর্শকদের অভিযোগ, রেটিং বাড়াতে, চমক তৈরির চেষ্টায় এই ধরনের অবাস্তব দৃশ্য দেখাচ্ছেন নির্মাতারা। ধারাবাহিকের মান কোথায় নামছে, এক বারও ভাবছেন না কেউ! দর্শকেরাও দেখতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা নেটমাধ্যমে অভিযোগ জানাতে জানাতে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
এ দিকে নির্মাতাও দর্শকদের বোঝাতে ব্যর্থ, ধারাবাহিক হয়তো সত্য ঘটনার উপরে আধারিত। তার মানেই যে পুঙ্খানুপুঙ্খ সব দৃশ্য বাস্তবসম্মত হবে, এমনটাও কি সম্ভব? কিছু চমক তো এ ভাবেই তৈরি করতে হয়। হাতেগোনা কিছু দর্শক অবশ্য মেনেছেন সেই যুক্তি। তাই ‘সহচরী’তে দেবিনার বিয়ের দৃশ্য নিয়ে মিম তৈরি হলে তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে বাকিদের বুঝিয়েছেন, সমরেশের পরকীয়া মেনে নিতে পারেনি পরিবার। সে কারণেই ভাই ও ভাবে দাদাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। নিজে বিয়ে করেছে অধ্যাপক দাদার ছাত্রীকে।