বিজ্ঞাপনী প্রচারে সৌরসেনী মৈত্র জুটি বাঁধলেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
দর্শক তাঁকে মূলত অভিনেত্রী হিসেবেই চেনেন। তবে সৌরসেনী মৈত্রের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল বিজ্ঞাপন জগতে পা রেখে। এক সময় দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে একটি গয়না প্রস্তুতকারক কোম্পানির বিজ্ঞাপনে নজর কেড়েছিলেন তিনি। এ বার একটি সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারে সৌরসেনী জুটি বাঁধলেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে। লিয়েন্ডারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সৌরসেনী।
উদ্যোগপতি রাহুল টোডি (শ্রাচি গ্রুপ) বাংলায় ক্রীড়া জগতের উন্নতি সাধনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। সংস্থার মুখ হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন দেশের অন্যতম সফল টনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডারকে। সম্প্রতি এই বিজ্ঞাপনের শুটিং হয়েছে শহরে। ফ্লোরেই লিয়েন্ডারের সঙ্গে প্রথম আলাপ সৌরসেনীর। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘খুবই ঠান্ডা মাথার মানুষ। মাটিতে পা রেখে চলেন। খুব ভাল লাগল কাজটা করে।’’
সৈরসেনী শুটিং ফ্লোরে মজা করেই কাজ করতে পছন্দ করেন। লিয়েন্ডারের সঙ্গেও সেটাই করেছেন। ফ্লোরে তখন দু’জনের মেকআপ তৈরি। অভিনেত্রী জানালেন, লিয়েন্ডার চেয়েছিলেন দু’জনের একসঙ্গে ছবিগুলো আগে তুলে নিতে। দু’জনের বোঝাতে লিয়েন্ডার নাকি ‘ডুয়েট’ শব্দটি ব্যবহার করেন। সৌরসেনীর কথায়, ‘‘আমি মজা করে বললাম যে ডাবল্স হলে কেমন হয়!’’ আসলে লিয়েন্ডারের ছবিগুলোই আগে শুট করার কথা ছিল। সৌরসেনী বললেন, ‘‘আমি জানি, উনি ব্যস্ত মানুষ। কিন্তু উনি আমার কথা ভেবে আগে দু’জনের ছবি তোলার কথা বললেন। মাটিতে পা রেখে কী ভাবে চলা যায়, এগুলো দেখেই শেখা যায়।’’
লিয়েন্ডার আপাতত কলকাতার বাসিন্দা। শুটিংয়ের ফাঁকে এই শহরকে নিয়ে দু’জনের খোলা মনে কথাও হয়েছে। দু’জনের কাজ এবং ফিটনেস নিয়েও তাঁরা কথা বলেছেন। সৌরসেনী বললেন, ‘‘লিয়েন্ডার আমাকে বললেন যে, কলকাতার ছেলে হয়েও উনি বাংলায় সরগড় নন। একটু বাংলায় কথা বলার চেষ্টাও করছিলেন।’’ লিয়েন্ডারের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো দীর্ঘ দিন মনে থেকে যাবে বলেই জানালেন সৌরসেনী।
সৌরসেনী এর পর মুম্বই যাবেন মণীশ মলহোত্র প্রযোজিত হিন্দি ছবিটির ডাবিংয়ের কাজে। তার পরেই শুরু হবে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ ছবিটির শুটিং। এ ছাড়াও সৌরসেনী অভিনীত ‘বাবলি’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।