তাপস পাল: (১৯৫৮-২০২০)
আরে আপনি তো মশাই ছেলেদের গায়ে জ্বালা ধরানো নায়ক! এক দিকে মাধুরী অন্য দিকে মহুয়া!
না। কেউ কাউকে ব্যক্তিগত স্তরে চেনে না। নিতান্তই ‘বাইট’ নেওয়ার কেজো কথা সারতেই ফোন। তবু এ কথাটুকু তাঁকে বলে দেওয়ার সুযোগ পেলে আর ছাড়ে কে! ফোনের ও প্রান্তে তখন আশির দশকের মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেমের ‘আইকন’ তাপস পাল। রিসিভার ছাপিয়ে তাঁর প্রাণখোলা হাসি তখন পৌঁছে যাচ্ছে পাশে বসা সহকর্মীর কানেও।
বাংলা ছবি যেন তার নিয়তি সাজিয়েই বসেছিল। উত্তম কুমারের মৃত্যু আর ছবির জগতে তাপসের প্রবেশ। সালটা একই। ১৯৮০। প্রবেশ না বলে ‘অনুপ্রবেশ’ বলাই ভাল। বাংলা ছবিতে ‘দাদার কীর্তি’-তে যখন তাপস পালকে ‘কেদার’ করার কথা ভাবছেন তরুণ মজুমদার, তখন কে জানত এই অপাপবিদ্ধ চাহনিতেই মেয়েদের সব বসন্ত চুরি করে নিয়ে যাবে ওই রোগাপাতলা গড়নের ছেলেটা! কেই বা জানত, তাঁকে দেখেই, তাঁর মতো করেই প্রেম করতে শিখবে বাংলার ঘরের যত উঠতি কেদারেরা!
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফেরা হল না, মুম্বইয়ে জীবনাবসান তাপস পালের
দাদার কীর্তির ‘কেদার’ দিয়ে যে প্রেমের বীজতলা শুরু করেছিলেন তাপস, সেই আবেগের উথালিপাথালি চোরাস্রোত টানটান রেখেছিলেন ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ থেকে শুরু করে ‘গুরুদক্ষিণা’ পর্যন্ত। কোনও চেনা ছকের হিরোইজম নয়, প্রথম দিকের ছবিগুলোতে তাপস পালের ইউএসপি সারল্য ও ভালমানুষি। পেশী নেই। চেহারা নেই। হিরোসুলভ উপস্থিতি নেই। শহুরে হাবভাব নেই। ম্যাগাজিন জোড়া ছবি নেই। তুমুল অনুরাগিনীদের ভিড় নেই। এত ‘নেই’-কে সম্বল করে যে লোকটা মেয়েদের মন কেড়ে নেওয়ার মন্ত্রগুপ্তি জেনে যায়, সে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ছাড়া আর কী! তরুণ মজুমদার এক বার বলেছিলেন, ‘‘তাপসের চোখ প্রেমের গেরিলা কায়দা জানে।’’
‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে তাপস ও মহুয়া।
তাপস প্রমাণ দিয়েছিলেন, শুধু জানেনই না, তিনিই প্রেমের গেরিলাযুদ্ধে রীতিমতো দক্ষ। মহুয়া রায়চৌধুরীকে নিয়ে তখন হইহই রইরই ব্যাপার। বহু যুবকের রাতের ঘুম কেড়েছেন মহুয়া! ১৯৭২-এ ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ থেকেই যাঁর কুহেলি মাখানো মুখ ও বসন্তজড়ানো চোখের সামনে নতজানু হয়ে বসছে তামাম বাংলার যুবক। সেই মহুয়ার বিপরীতে কে নায়ক? কোথাকার অজ্ঞাতকুলশীল তাপস পাল! ‘‘ও ছবি চলবে না, অমন বোকা বোকা চাহনির ছেলে দিয়ে মহুয়াকে ট্যাকল করা যায় না!’’ মন্তব্য করেছিলেন আশির দশকের আর এক পরিচালক। সেই ভবিষ্যদ্বাণী চুরমার করে দাদার কীর্তি ‘সুপারহিট’। তার একটা কারণ যদি মহুয়ায় মজে থাকা মন হয়, তবে আর এক কারণ অবশ্যই চন্দননগরের নরম চেহারার ভিতু ভিতু মুখের নায়ক।
১৯৫৮-এর ১৯ সেপ্টেম্বর চন্দননগর ধাড়াপাড়ায় জন্ম। চিকিৎসক পরিবারের সন্তান। বাবা গজেন্দ্রচন্দ্র পাল ছিলেন চন্দননগর হাসপাতালের চিকিৎসক। কানাইলাল বিদ্যামন্দির থেকে পাশ করে চুচুঁড়া মহসীন কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন খোকা ওরফে তাপস। ছোটবেলা থেকেই মোগলাই আর পাড়ার নাটকে গান— এই ছিল পছন্দের তালিকায়। অভিনয় করার চেয়ে দেখতেই ভালবাসতেন বেশি। তবে কলেজ শেষ করার পর পরই ছবিতে অভিনয় করতে মন চাইল। এ দিকে চেনা নেই কেউ। চন্দননগরে বসেই খবর পেলেন, নতুন ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছেন তরুণ মজুমদার। হাজির হলেন অডিশনে। সন্ধ্যা রায় ও তরুণ মজুমদার মিলে নিলেন অডিশন। শিকে ছিঁড়ল অবশেষে। কলকাতায় অভিনয়ে অভিজ্ঞতা থাকা বহু কলাকুশলীকে হারিয়ে কেদার চরিত্রে তাপস পাল ‘সিলেক্টেড’!
‘সিলেকশন’ শব্দটা যেমন তাঁকে অপার যশ এনে দিয়েছে, তেমনই বিপদেও ফেলেছে বিস্তর। টলিউডে দ্রুত মধ্যগগনে উঠে যাওয়া তাপস পাল কয়েক বছরের মধ্যেই পাড়ি জমাতে চাইলেন মুম্বইয়ে। বারবার নিষেধ করেছিলেন কাছের পরিচালক, বন্ধুরা। তবু নাছোড় তাপস উড়ে গেলেন মুম্বই। হীরেন নাগের ছবি ‘অবোধ’ (১৯৮৪)। বিপরীতে নবাগতা মাধুরী। হ্যাঁ, মাধুরী দীক্ষিত। ‘অবোধ’ মুখ থুবড়ে পড়ল বক্স অফিসে। বলিউডের সিলেকশন সুখের হল না। তবে ‘ডিভা’ মাধুরীর জীবনের প্রথম নায়ক হয়ে রয়ে গেলেন বাংলার তাপস পাল!
আরও পড়ুন: ‘তাঁর মৃত্যুতে শূন্যতা অনুভব করছি’, টুইট মাধুরী দীক্ষিতের
তাপস-দেবশ্রী। দীর্ঘ কালের জনপ্রিয় এই জুটির এক জন চলে গেলেন।
ফিরে এলেন কলকাতায়। তরুণ মজুমদার বোঝালেন, বাংলাতেই ঢেলে দিতে হবে তাঁর সম্পূর্ণ অভিনয়সত্তা। তার পর থেকে ওই যে বাংলা ছবিতে থিতু হলেন তাপস, আর মুম্বইমুখো হলেন না কখনও। ১৯৮৫ –তে দেবশ্রীর বিপরীতে ‘ভালবাসা ভালবাসা’। মারকাটারি হিট তাপস পাল। বাঙালির দ্বিধাজড়ানো প্রেমের প্রতীক!
মহুয়ার পর দেবশ্রী, রচনা, শতাব্দী। নায়িকা বদল, জুটি তৈরি, জুটি ভাঙা— সবেতেই সফল তাপস। ‘অর্পণ’, ‘সুরের সাথী’, ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘সুরের আকাশে’, ‘নয়নমণি’, ‘চোখের আলোয়’, ‘তবু মনে রেখো’। তপন সিংহ থেকে অঞ্জন চৌধুরী, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় থেকে তরুণ মজুমদার— সকলেরই ‘ট্রাম্প কার্ড’ তাপস। বাঙালির রাগ-অনুরাগ-ঝগড়া-ভালবাসার তিন ঘণ্টার ওঠাপড়ার প্রতীক তখন তাপস পাল-ই। পিয়ানোয় নায়িকা? কিংবা প্রেমিকের কথার উত্তরে শরীর ঝাঁকিয়ে, ঘাড় বেঁকিয়ে ‘বয়েই গেছে?’ বাঙালির মনশ্চক্ষুতে মহুয়া-তাপস বা দেবশ্রী-তাপস। ‘চরণ ধরিতে দিও গো আমারে’ তো তখন বাঙালির প্রেমের থিম সং! ‘মৌচাক’-এ ‘রঞ্জিত-মিঠু’-র পর আরও দুই সফল প্রেমের জুটি। মহুয়া-তাপস। তাপস-দেবশ্রী।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় পরিবর্তন ঘটছিল তাঁর। ধীরে ধীরে নায়িকাকে গুন্ডাদের হাত থেকে উদ্ধার করার গতে বাঁধা নায়ক হয়ে উঠছিলেন তাপস পাল। আর তার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি সিনেমাখোর হারাচ্ছিল তাঁদের ব্যতিক্রমী ভাবনার নায়ককে। শুধু তাঁর প্রেমের প্রকাশে, ভাবনার বিলাসে থকথকে হয়ে জমে রইল সাহেব, কেদার আর লেখাপড়ায় ভাল উড়নচণ্ডী অরূপের বিষণ্ণ প্রেম।
মাঝে রুজিরোজগারের তাগিদে অনেক ছবি করলেও আশির দশকের তাপস পালকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি সে সবে। টাকার প্রয়োজনে করেছেন যাত্রাও। বাংলা ধারাবাহিকেও কাজ করেছিলেন রবি ঘোষের সঙ্গে। তবে অভিনেতা তাপস পালকে ২০০০-এ আরও এক বার এনেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ‘উত্তরা’ (২০০০) ও ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’(২০০২)-এ তাপস পালের অসাধারণ অভিনয় মনে রাখবেন সব সিনেমাপ্রেমীই। দেবাদিত্যের ‘আটটা আটের বনগাঁ লোকাল’ (২০১২) ছবিতেও তাঁর অভিনয় সাড়া ফেলে।
আরও পড়ুন: ‘দাদার কীর্তি’-র সময় তাপস আমার কাছে ছিল ছ’মাস
তবে ওই যে ‘সিলেকশন’! তার হাত ধরেই জীবনের আর এক ইনিংস শুরু করলেন তাপস পাল। বেছে নিলেন রাজনীতিকে। ২০০১-এ আলিপুরের মতো অভিজাত এলাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রার্থী হলেন। মমতা তখন রাজনীতিতে মহাজোটের অন্দরে। ‘উত্তরা’-র সাফল্য যেমন নিভে যাওয়া খ্যাতিকে অনেকটা উস্কে দিয়েছিল, ২০০১-এ মহাজোট প্রার্থী হয়ে আলিপুর থেকে অনায়াসে জিতে যাওয়া সেই খ্যাতির আঁচ জ্বালিয়ে দিয়েছিল দাউদাউ। মহাজোট গোহারা হারলেও তৃণমূলের ঘরে যে ক’জন স্বস্তির হাওয়া ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিলেন, তাপস তাঁদের অন্যতম। ২০০৬-ও খালি হাতে ফেরায়নি। বাঙালির রসিকতায় ফের ফিরে এসেছিল ‘দাদার কীর্তি’-র নস্ট্যালজিয়া। রসিকতা শুরু হয়ে গিয়েছিল, দিদির রাজত্বে ‘দাদা’ ফিরলেন বলে। ২০০৯। ২০১৪। পর পর জয়ী তাপস। রাজনীতির অঙ্গনেও তাঁর ছবির মতোই ‘হিট’।
বেশ উঠছিলেন তাপস। সহসা ২০১৩-য় হোঁচট খেলেন সামান্য। দলের অন্দরে নানা কারণে তাঁকে নিয়ে তৈরি হচ্ছিল ক্ষোভ। তিনিও জমিয়ে রাখছিলেন বিরক্তি, বিরোধিতা। আচমকা সে সব ফেটে গেল আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক রক্তদান শিবিরের মঞ্চে। দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেললেন প্রকাশ্যেই। দল যে ভাবে চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল মূলত। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, ২০১৪-য় টিকিট নাও মিলতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনেও স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না, মদ্যপানের বহর বাড়ছিল দিনকে দিন। সব মিলিয়ে তুষ্ট ছিলেন না দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু টিকিট দিলেন তাঁকে। কৃষ্ণনগরের টিকিটে ফের জিতে গেলেন তাপস!
এই জয়ই বোধ হয় ক্ষণিকের জন্য টলিয়ে দিল তাপসকে। পশ্চিমী সাহিত্যের ছকবাঁধা নিয়মেই হয়ে উঠলেন ট্র্যাজিক হিরো। করে ফেললেন সেই অমোঘ ভুল, যার জের এক লহমায় তাঁকে টেনে নামাল মাটিতে। ২০১৬-য় প্রকাশ্যে এল এক ভিডিয়ো। তাতে দেখা গেল, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধীদের একহাত নেওয়া অভিনেতা-সাংসদ চাঁছাছোলা ভাষায় বিরোধীদের ঘরে ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি ও অশ্লীল ইঙ্গিত করছেন তাপস।
সম্ভবত, তাপস পালকে নিয়ে তৈরি হওয়া বাঙালি ‘অরা’-য় ওটাই প্রথম কাদার দাগ। যৌবনে যাঁকে পর্দায় দেখে প্রেম করার অভ্যাসে শান দিচ্ছিল বাঙালি, সেই তাপস পালই কিনা বলছেন ‘ছেলে ঢোকানো’র কথা! নিতে পারল না বাঙালি। নেওয়ার কথাও নয়। ব্যঙ্গে-বিদ্রূপে জেরবার তাপস যেন কোণঠাসা হয়ে গেলেন। ক্ষমা চেয়েও ইমেজ উদ্ধার হল না। রুষ্ট হয়েছিল বোধ হয় নিয়তিও। নইলে কি তার পর পরই অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ায়! ২০১৬-র ৩০ ডিসেম্বর সিবিআই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাপস পালকে। একে ‘ছেলে ঢোকানো’র বিতর্ক, তায় আবার জুয়াচুরির অভিযোগে গ্রেফতার। বাঙালি ‘কেদার’কে বাঁচিয়ে রেখে ভুলে যেতে চাইল ‘তাপস পাল’-কে। ভুবনেশ্বরে জেলবন্দি থাকাকালীনও তাঁর বন্দিদশা কাটানোর আকুল আবেদন আর দাগ কাটল না তাই। রাজনীতির ঘরের দরজাও যে একপ্রকার বন্ধ, তা ২০১৯-এ টিকিট না দিয়েই বুঝিয়ে দিল দল। এক সময় যাঁদের সঙ্গে আড্ডা না দিলে ভাল থাকতেন না, এক সময় যাঁরা তাঁর সঙ্গে না কথা বলে কোনও কাজ করতেন না, এড়িয়ে যেতে শুরু করলেন তাঁরাও। ক্রমে ফিকে হতে থাকা তাপস পাল চলে যাচ্ছিলেন বিস্মৃতিতে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির ইনিংসে বিতর্কই সঙ্গী থাকল ‘দাদার কীর্তি’র কেদারের
তখনও গ্রাস করেনি বিতর্ক। দূরে রয়েছে অসুখও।
মন ভেঙেছিল আগেই। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শরীরও আর সায় দিচ্ছিল না। উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা গিলে ফেলছিল তাপসকে। ঘন ঘন হাসপাতালে ভর্তি, কড়া কড়া অ্যান্টিবায়োটিক, অপ্রিয় স্মৃতি কমিয়ে আনছিল আয়ু। সম্প্রতি মুম্বই গিয়ে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। ভর্তি হন মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ১ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও ধাক্কা কাটিয়ে ফিরে আসেন। সোমবার কলকাতা ফেরত আসার পথে ফের অসুস্থ বোধ করেন মুম্বই বিমানবন্দরে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মঙ্গলবার ভোররাত ৩.৩৫-এ মৃত্যু হল তাঁর।
‘চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে’-র নায়কের কাছ থেকে অনুকম্পার রেশটুকুও তত দিনে সরিয়ে নিয়েছে বাঙালি। তবু আঠালো হয়ে বসে থাকা কেদার, অরূপ, সাহেবদের যে সে ভুলতে পারেনি তার প্রমাণ, তাপস পালের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে যাওয়ার তিন মিনিটের মাথায় তাঁর উইকিপিডিয়ার পেজটি হ্যাং হয়ে যায়।
জীবনের হ্যাংওভার কাটিয়ে ততক্ষণে এই ভরন্ত বসন্তেই মহুয়া-বীথিতে হাঁটা দিয়েছেন তাপস।