Sudip Mukherjee divorce

বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে দম্পতির! পৃথার বক্তব্য অস্বীকার সুদীপের, ‘এটা নিছক রসিকতা’, দাবি অভিনেতার

দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। পৃথা সমাজমাধ্যমে বিচ্ছেদের খবর জানালেও সুদীপ তা অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১৫
Share:

সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং পৃথা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

শনিবার বিকেল থেকেই টলিপাড়া তোলপাড়। অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তী সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে তাঁদের বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আনেন। আনন্দবাজার ডট কমের কাছে সুদীপ দাবি করেন তিনি বিষয়টি কিছুই জানেন না। রবিবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেতা জানিয়েছেন, পুরোটাই নাকি ‘রসিকতা’!

Advertisement

শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করে পৃথা লেখেন, ‘‘আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নই। আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছিন্ন। আগামী দিনে আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে থাকব।’’ তার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে দম্পতিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়। রবিবার নাটকের মহড়ার মাঝে সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে সুদীপ জানান, তাঁর স্ত্রী রসিকতা করে পোস্টটি করেছিলেন। ভিডিয়োয় অভিনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘পৃথা গতকাল রসিকতা করে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একটি পোস্ট করে।’’ এরই সঙ্গে স্ত্রী কেন এ রকম একটি পোস্ট করেছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুদীপ। অভিনেতার যুক্তি, ‘‘আসলে চারদিকে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। ওর মনে হয়েছিল, যদি এ রকম কোনও খবর আমাদের নিয়ে হয়, তা হলে কী হবে! বিষয়টা ও খুব একটা ভেবে দেখেনি। বুঝতে পারেনি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।’’

সুদীপ জানান, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ভিডিয়োয় সুদীপ বলেন, ‘‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা এখনও একসঙ্গেই রয়েছি।’’ এরই সঙ্গে অনুরাগীদের কোনও রকমে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন সুদীপ। তাঁদের ইতিবাচক থাকতে বলেছেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু সুদীপের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরও জল্পনা থামেনি। সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, কেউ তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে অহেতুক সমাজমাধ্যমে কেন মিথ্যা খবর পোস্ট করবেন? রবিবার সকালেও পৃথা ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘সুধী মহিলারা, ওর নতুন মহিলাটি কখনওই নতুন ছিলেন না। আপনারা জানতেনই না।’’ তবে এই পোস্টটিকে নেহাতই মজার পোস্ট বলে মন্তব্যবাক্সে উল্লেখ করেছেন পৃথা।

এখনও পর্যন্ত সুদীপের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নতুন কোনও মন্তব্য করেননি পৃথা। তবে রবিবার বিকালে ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট করেন পৃথা। সেখানে তিনি হিন্দিতে যা লিখেছেন তার মর্মার্থ, ‘‘যা দেখা যায়, সেটা সত্য না-ও হতে পারে। কিন্তু যা ঘটে তা দেখতে পাওয়া যায় না।’’ পৃথার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে জল আরও ঘোলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই সমাজমাধ্যমই ভালবাসায় জুড়ে দিয়েছিল সুদীপ-পৃথাকে। ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথা ঘর বেঁধেছিলেন বিবাহবিচ্ছিন্ন সুদীপের সঙ্গে। তাঁর প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসু। সুদীপ-পৃথার বয়সের ব্যবধানও ২৫ বছর। যদিও তা তাঁদের সুখী দাম্পত্যে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। বিবাহবিচ্ছেদের দাবি অস্বীকার করেছেন সুদীপ। তবে যা রটেছে, তার কতটা সত্য এবং কতটা মিথ্যা, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে সুদীপের বার্তায় খুশি দম্পতির অনুরাগীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement