কুড়িগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে কী বললেন গায়ক নোবেল? —ফাইল চিত্র।
কুড়িগ্রামের একটি কলেজে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়ান গায়ক মইনুল আহসান নোবেল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অবাক তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তিনি মানতেই পারছেন না নোবেল এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘মত্ত’ অবস্থায় মঞ্চে নোবেলকে দেখে ক্ষুব্ধ তাঁর অনুরাগীরা। এ প্রসঙ্গে এত দিন চুপ ছিলেন গায়ক। শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন।
এক সাক্ষাৎকারে, নিজের অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন গায়ক। তিনি বলেন, “স্টেজে ওঠার আগে সেই পরিবেশে মনোনিবেশ করার জন্য, নিজেকে রিল্যাক্সড রাখার জন্য অল্প মদ্যপানের দরকার পড়ে। তবে সে দিন অতিরিক্ত মদপান করিনি। হ্যাঁ, স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদপান করেছিলাম। এ ঘটনায় আমি অনুতপ্ত এবং দুঃখিত। হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। এ রকম ঘটনা আর ঘটবে না।”
কী ঘটেছিল সে দিন? বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয় গায়ককে। সঙ্গীত পরিবেশন করার কথা ছিল তাঁর। রাত ৯টায় তাঁর স্টেজে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তিনি গান গাইতে ওঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। মঞ্চে গান গাইতে গাইতে একটা সময় মাতলামি করা শুরু করেন। শেষে বসে পড়েন। গায়কের এই আচরণে ক্ষুব্ধ শ্রোতারা নোবেলকে লক্ষ করে বোতল ও জুতো ছুড়ে মারতে থাকেন। যে ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল। শেষে বিপদ বুঝে কলেজ কর্তৃপক্ষ গায়ককে মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেন।