ছেলে রাজ্যের সঙ্গে পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত।
১০ অগস্ট বৃহস্পতিবার এক বছর পূর্ণ করল পরীমণির ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। যদিও ছেলের জন্মদিনে সকাল থেকেই মনখারাপ ছিল নায়িকার। একপ্রস্ত কান্নাকাটিও করেছেন। সাধ ছিল স্বামীকে নিয়ে ছেলের এক বছরের জন্মদিন পালন করবেন। কিন্তু, সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি অভিনেত্রীর। জন্মদিনে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বাবা শরিফুল রাজ। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে দেখা করেননি পরীমণি। দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন। মনখারাপ নিয়েই অভিনেত্রী বৃহস্পতিবার ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ঢাকার এক বিলাসবহুল হোটেলে। রাত ৯ টা নাগাদ শুরু হয় অনুষ্ঠান। অভিনেত্রী তাঁর ‘পদ্মফুল’-এর (ছেলেকে এখন এই নামেই ডাকেন পরীমণি) জন্য এলাহি আয়োজন করেন। একরত্তির জন্মদিনে খরচের পরিমাণ জেনে অবশ্য অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে পরীমণির আত্মীয়স্বজন এবং ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ছেলে জয়কে নিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। তবে অনুষ্ঠানে শরিফুল রাজের দেখা মেলেনি। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাবার দেওয়া জুতো পরেই এ দিন অনুষ্ঠানে আসে ছোট্ট রাজ্য। সূত্রের খবর, চোখধাঁধানো এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন পরীমণি!
এই অর্থ কী ভাবে জোগাড় করলেন? প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি ও পার বাংলার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনেক কষ্ট করে এই অর্থ জোগাড় করেছেন। তিনি নাকি প্রতি মাসে ছেলের জন্মদিনের জন্য টাকা জমাতেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘রাজ্যের জন্মের পর থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। প্রথম দিকে রাজ্যের বাবাও যুক্ত ছিল এই উদ্যোগের সঙ্গে, কিন্তু পরে যা হওয়ার তাই হল। ও চলে গেল।’’ এরই সঙ্গে পরীমণি যোগ করেন, ‘‘আসলে বাবুর প্রথম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। এই অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্যের বাবা পাশে থাকলে আমাকে এত কষ্ট পেতে হত না।’’
২০ মে পরীমণির বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শরিফুল রাজ। তার পর থেকেই স্ত্রী এবং সন্তানের থেকে আলাদা তিনি। সন্তানকে নিয়ে একার সংসার অভিনেত্রীর। তাই ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানও একা হাতেই সামলেছেন পরীমণি।