বলিউডে সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খেলা চলতেই থাকে। প্রেম থেকে বিয়ের পথে বহু প্রেমই ঝরে যায়। আয়েশা টাকিয়া এবং ফরহান আজমির সম্পর্ক অবশ্য সে পথে পা রাখেনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল আয়েশার। কিন্তু শেষ অবধি তিনি বিয়ে করেন বাল্যবন্ধু ফরহানকেই।
আয়েশার পড়াশোনা মুম্বইয়ের সেন্ট অ্যান্থনিজ গার্লস হাই স্কুলে।
লাইট সাউন্ড ক্যামেরার দুনিয়ায় তিনি পা রেখেছিলেন শৈশবেই। টেলি দর্শক তাঁকে চিনেছিল শাহিদ কপূরের পাশে ‘কমপ্ল্যান গার্ল’ হিসেবে।
ফাল্গুনী পাঠকের মিউজিক ভিডিয়ো ‘মেরি চুনর উড় উড় যায়ে’-তে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছিলেন পঞ্চদশী আয়েশা।
নায়িকা হিসেবে আয়েশাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ‘টারজান দ্য ওয়ান্ডার কার’ ছবিতে। এ ছাড়া তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘সোচা না থা’ ছবিতেও।
আয়েশার ফিল্মোগ্রাফিতে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছবি হল নাগেশ কুকুনুড় পরিচালিত ‘ডোর’। বলিউডের তথাকথিত নায়িকার ভূমিকা থেকে সরে গিয়ে তিনি এই ছবিতে অভিনয় করেন অন্য ধরনের চরিত্রে।
এর পর ‘সালাম-এ-ইশক’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘মোর’-সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন আয়েশা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে তিনি হারিয়ে যান প্রতিযোগিতা থেকে।
ইন্ডাস্ট্রিতে পিছিয়ে পড়লেও গুঞ্জন তাঁকে ছেড়ে যায়নি। মনীষা কৈরালার ভাই সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে গুঞ্জন।
এখানেই শেষ নয়। অস্মিত পটেল এবং প্রভুদেবার সঙ্গেও আয়েশার প্রেম ছিল বলে শোনা গিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে।
তবে অস্মিত বা প্রভুদেবা, কারও সঙ্গে সম্পর্কের কথাই স্বীকার করেননি আয়েশা।
২০০৫ সালে এমন একজনের সঙ্গে আয়েশার সম্পর্কের কথা শোনা গেল, যিনি অভিনয় জগতের কেউ নন। তিনি হলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমির ছেলে ফরহান আজমি।
মুম্বইয়ে ফরহানের একটি রেস্তরাঁ চেন আছে। তাঁর রেস্তরাঁয় মাঝে মাঝেই দেখা যেতে লাগল আয়েশাকে।
তবে দু’জনের কেউ তাঁদের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখেননি। গোপন করার কারণও কিছু ছিল না। কারণ দু’জনের পরিবার অনেক দিন ধরেই পরিচিত ছিল।
৩ বছর প্রেমের পরে ২০০৮ সালে তাঁরা বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হানার জেরে তাঁদের বিয়ে পিছিয়ে যায়।
এক বছর অপেক্ষার পরে দু’জনে বিয়ে করেন ২০০৯ সালে। সে সময় আয়েশা ছিলেন ২৩ বছর বয়সি।
বিয়ের পরে আয়েশার মাত্র ২টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ২০১১ সালের পর থেকে তাঁকে আর বড় পর্দায় দেখা যায়নি।
কেরিয়ার ছেড়ে অল্প বয়সে বিয়ে করে নেওয়ায় আয়েশার কোনও আক্ষেপ নেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, সে সময় তিনি একটি স্থায়ী সম্পর্কের খোঁজেই ছিলেন।
স্বামী ফরহান এবং পুত্রসন্তানকে নিয়ে আয়েশা এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী। রাজনীতিক পরিবারের ছেলে ফরহান পেশায় ব্যবসায়ী।
তাঁর এবং আয়েশার দাম্পত্য জীবন নিয়ে নেতিবাচক কোনও খবর এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।