(বাঁ দিকে)‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবির পোস্টার, আশা পারেখ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভূমিচ্যুত করার ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি পরিচালনা করেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবির প্রথম ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল ওই ছবি। পাশাপাশি, শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পরিচালক নিজেও। তবে বিতর্ক বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ছবির বক্স অফিসের ব্যবসার ক্ষেত্রে। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল বিবেকের এই ছবি। মুক্তির বছরখানেক পরেও এখনও মাঝে মধ্যেই আলোচনায় উঠে আসে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। ব্যবসায়িক সাফল্য সত্ত্বেও এই ছবি নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করতে পিছপা হননি বিনোদন জগতের অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান অভিনেতারা। বিশাল ভরদ্বাজ, নাসিরউদ্দিন সিদ্দিকি থেকে শুরু করে কমল হাসন— ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর সমালোচনায় মুখ খুলেছেন অনেকেই। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বলিউ়ডের প্রবীণ অভিনেত্রী আশা পারেখ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আশাকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ছবিটি দেখেননি তিনি। তবে ছবির বক্স অফিস ব্যবসা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। তা নিয়ে মুখ খুলে কিছুটা বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে আশা বলেন, ‘‘আমি না দেখলেও অন্যান্য দর্শক নিশ্চয়ই দেখেছেন ছবিটা। কারণ, বিপুল অঙ্কের টাকা ঘরে তুলেছেন ছবির নির্মাতারা।’’ তবে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত অভিনেত্রীর মতে, যাঁদের জন্য বানানো এই ছবি, আদপে তাঁদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিতর্কিত ছবি বানিয়ে আখেরে লাভবান হয়েছেন নির্মাতারাই।
তাঁর মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করতে পারে তা জেনেও মুখ খুলে আশা বলেন, ‘‘এই ছবি থেকে তো ৪০০ কোটি টাকা লাভ করেছেন ছবির নির্মাতারা। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকাও কি তাঁরা কাশ্মীরি হিন্দুদের জন্য খরচ করেছেন?’’ আশার আরও প্রশ্ন, ‘‘ধরে নিলাম ছবির পরিবেশকদেরও বেশ কিছু লাভের টাকা দিতে হয়েছে। তার পরেও তো প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঘরে তুলতে পেরেছেন নির্মাতারা। যে কাশ্মীরিদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, তাঁদের উন্নয়নের জন্য সেই ২০০ কোটি টাকার মধ্যে থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকাও যদি ব্যয় করতেন, তবেই এই ছবি বানানো সার্থক হত।’’