গোটা কেরিয়ারে জন্মদিন উদ্যাপন করার সময় পাননি অভিনেত্রী
৭৫তম জন্মদিনেও তিনি প্রজ্জ্বলিত শিখা। ১৯৬০ থেকে ‘৭০-এর দশকের পর্দা মাতানো অভিনেত্রী মুমতাজ আসকারি মাধবনীর বিশেষ দিনটি ভরল বহুমূল্য উপহারে, আদরে। দুই মেয়ে তানিয়া, নাতাশা এবং তাঁদের ছেলমেয়েরা ঘিরে ছিলেন মুমতাজকে। শিল্পপতি স্বামী ময়ূর মাধবনী স্ত্রীকে দিলেন এক বহুমূল্য মার্সিডিজ গাড়ি। পেলেন অজস্র অলঙ্কার। ধুমধাম করে জন্মদিন উদ্যাপিত হল উগান্ডায়।
বলিউডের এক সময়ের অন্যতম সফল অভিনেত্রী মুমতাজ। ‘দো রাস্তে’ (১৯৬৯), ‘বন্ধন’ (১৯৬৯), ‘আদমি অওর ইনসান’ (১৯৬৯), ‘সচ্চা ঝুটা! (১৯৭০), ‘খিলোনা’ (১৯৭০), ‘তেরে মেরে সপনে’ (১৯৭১), ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ (১৯৭১)-এর মতো অজস্র ছবিতে জনপ্রিয় মুখ তিনি। জীবন তাঁকে ভরিয়ে দিয়েছে বলেই মনে করেন অভিনেত্রী। ৭৫ বছর বয়সে এসে তাঁর মন কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সঙ্গে পেয়েছেন পরিবারকে। ভালবাসায় ভরিয়ে রেখেছেন সকলে, এ কি কম পাওনা!
জন্মদিনে উচ্ছ্বসিত মুমতাজ বললেন, ‘‘আমার স্বামী আমাকে সব কিছুই দিয়েছেন। কিন্তু এ বারের জন্মদিনের কথা যদি জিজ্ঞেস করেন, তিনি আমাকে একটি মার্সিডিজ গাড়ি উপহার দিয়েছেন। এ ছাড়াও দিয়েছেন গয়না।’’
শুধু আজ নয়। বরাবরই জন্মদিনে মধুর সময় কেটেছে অভিনেত্রীর। অবশ্য তিনি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন, উদ্যাপনের উৎসাহ বেশি ছিল সহকর্মীদেরই।
মুমতাজ বললেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে থাকাকালীন ছবির সেটেও জন্মদিনে হইহই করেছি। প্রতি বারই কেক কাটা হত। সবাই মিলে উল্লাস করত। কিন্তু আমি আমার কেরিয়ার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, জন্মদিনের কথা মনেই থাকত না। এমনকি নিজের অভিনীত ছবিগুলোও দেখার সময় পাইনি।’’
যদিও বয়স নিয়ে চিন্তিত নন মুমতাজ। জানালেন, তিনি এখনও মনে মনে অষ্টাদশী। মনে হয়, ‘‘আমি এখনও নাচি। এখনও প্রতি দিন প্রায় ৯০ মিনিট ধরে শরীরচর্চা করি।’’
ঘুরতেও ভালবাসেন মুমতাজ। মাঝেমাঝেই সতীর্থদের সঙ্গে সময় কাটাতে বিভিন্ন ঠিকানায় উড়ে যান তিনি। গত বছর নভেম্বরে, শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং তাঁর পরিবারকে হঠাৎই উপস্থিত হয়ে চমকে দেন তিনি।
আগামী দিনে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘হীরামান্ডি’ ওয়েব সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে বর্ষীয়সী অভিনেত্রীকে।