পোশাক নিয়ে অস্বস্তিতে অনুষ্কা। ছবি: সংগৃহীত।
কাঁধখোলা ছোট্ট হলুদ টপ, সঙ্গে হালকা নীল জিন্স। সেই পোশাকেই এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এলেন অনুষ্কা শর্মা। হাওয়ায় উড়ছিল তাঁর খোলা চুল। কিন্তু তার পরই অপ্রস্তুত মুহূর্ত। ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ নায়িকার ছোট্ট টপের ঝালর ডানা মেলে উড়তে শুরু করে। হাওয়া দিলেই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল অনুষ্কার পোশাক। নেমেও যাচ্ছিল বুকের উপরের ইলাস্টিক। ধরে টেনে তুললেন অভিনেত্রী।
পিছন থেকে এসে পোশাকটি গায়ে চেপে দিলেন এক সহকারী। আর সামনে পেটের উপর পোশাকটিকে ধরে রাখলেন অভিনেত্রী নিজেই। মুখের হাসি শুকিয়ে গেল তাঁর এক লহমায়। টপটিকে যে কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না! সেই যুদ্ধের ছাপ স্পষ্ট ধরা দিল নায়িকার অভিব্যক্তিতে। স্তনদ্বয়ের উপর কোনওমতে ইলাস্টিকে আটকে রইল অনুষ্কার টপ। হাওয়ার ‘দুষ্টুমি’ থেকে মুক্তি পেতে এক ছুটে অনুষ্ঠান ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন বিরাট-ঘরনি। ভিডিয়োটি পুরোনো, তবে হঠাৎ সামনে চলে আসায় আবার শোরগোল।
দেখে নতুন করে ভেসে এল হতাশাসূচক মন্তব্য। অনুরাগীরা অনুষ্কাকে দেখে খুশি হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পোশাক নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি কারও নজর এড়ায়নি। অনেকেই বললেন, “এমন পোশাকে যদি অস্বস্তি হয়, পরার দরকার কী ছিল?”
সম্প্রতি বৃন্দাবনের মতো তীর্থস্থানে দেখা গিয়েছিল বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কাকে। গোপনীয়তা অবলম্বন করলেও সেই খবর ফাঁস হয়ে যায়। সকাল সকাল আধ্যাত্মিক গুরু নিম করোলি বাবার আশ্রমে পুজো দিতে দেখা যায় বিরাট ও অনুষ্কাকে।
এই সফরে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ছিল না। গোপন সূত্রের খবর, বিরাট ও অনুষ্কা আশ্রমে প্রায় এক ঘণ্টা থাকেন। সমাধিস্থলে তাঁরা ধ্যান করেন। এ ছাড়াও তাঁরা আনন্দময়ী আশ্রমও দর্শন করেন। দুপুরে বৃন্দাবনে পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁদের। মথুরাতে আগে থেকেই তারকা বিলাসবহুল হোটেলে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, নতুন বছর উদ্যাপন করতে বিরাট-অনুষ্কা পাড়ি দিয়েছিলেন দুবাই। সেখান থেকে বেশ কিছু ছবি তাঁরা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। অনুষ্কা সম্প্রতি শেষ করেছেন ‘চাকদহ এক্সেপ্রেস’ ছবির শুটিং।