দীর্ঘ বৈঠকের পরে রাতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জন্মলগ্ন থেকে গত ২৩ বছর শিল্পীদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রযোজকদের সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা বলে এসেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম। বৃহস্পতিবার, সংগঠনের ২৩তম জন্মদিনে প্রোডিউসার্স গিল্ড সেই আহ্বানে সাড়া দিল। আনন্দবাজার অনলাইনকে আর্টিস্ট ফোরামের সহকারী-সম্পাদক দিগন্ত বাগচি জানিয়েছেন, বিকেল থেকে দীর্ঘ বৈঠকের পরে রাতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে দিগন্তের সঙ্গে আর্টিস্ট ফোরামের তরফে উপস্থিত ছিলেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। দিগন্তের কথায়, নিসপাল সিংহ রানে, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সানি ঘোষ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুশান্ত দাস-সহ সমস্ত প্রযোজকরাই বৈঠকে যোগ দেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কোনও প্রতিনিধি এ দিন আসেননি।
চুক্তিতে কোন কোন দিক তুলে ধরা হয়েছে? দিগন্তের বক্তব্য, ‘‘১৩ পাতার চুক্তির খুঁটিনাটি জানানো সম্ভব নয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত পারিশ্রমিক, শ্যুটের জন্য নির্ধারিত সময়-সহ নানা বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’’ একই সঙ্গে সহকারী-সম্পাদকের দাবি, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় যখন ছিলেন তখনও বার বার এই চুক্তি স্বাক্ষরের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। কখনও চুক্তির কিছু নিয়ম কাগজে লিখে তাতে সই করে দিয়েছিলেন একাধিক প্রযোজক। কিন্তু কখনওই সেটি মউ-এর আকার নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক বার এই চুক্তি স্বাক্ষরের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। অবশেষে সেটা সম্পন্ন হল। ইতিমধ্যেই এই সুখবর জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
এই স্বাক্ষরের ফলে নিয়মিত পারিশ্রমিকের মতোই চুক্তিবদ্ধ শিল্পীদের কাজের সময়সীমা নির্ধারিত হল সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা। যে সব শিল্পীরা চুক্তিবদ্ধ নন, তাঁরা কাজ করবেন ১০ ঘণ্টা। আর্টিস্ট ফোরামের পাশাপাশি ফেডারেশনের সঙ্গেও প্রযোজকদের একটি মউ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা চলছিল। যার শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। দিগন্তের দাবি, ওটা আলাদা চুক্তি। সেখানে আর্টিস্ট ফোরামের কোনও ভূমিকা নেই। যেমন, ফোরাম-প্রোডিউসার্স গিল্ডের মউ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ফেডারেশন উপস্থিত ছিল না।