অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
দৃষ্টি নেই ঠিকই। কিন্তু রয়েছে প্রখর অন্তর্দৃষ্টি। আর সেই দৃষ্টি দিয়েই রঙে-রেখায় গল্প আঁকেন। সৃষ্টির জন্য শিল্পীর মানসচক্ষুই শেষ কথা। এক বিখ্যাত অন্ধ চিত্রকর বিজন বসু সেই মানসচক্ষুর সাহায্যেই তৈরি করেন তাঁর শিল্প। তাঁকে পেন্টিংয়ে সাহায্য করে তিথি। ঠিক এ ভাবেই বিজন ও তিথি ওরফে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে দেখলেন দর্শক। সৌজন্য পরিচালক শৈবাল মিত্রের ‘চিত্রকর’। গত ২৪ নভেম্বর নন্দনে প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন, মুভি রিভিউ: ‘চিত্রকর’
শৈবাল শেয়ার করলেন, ‘‘দুই প্রখ্যাত শিল্পী ভারতের বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও আমেরিকার মার্ক রথকো-র জীবনের দু’টি ছোট ঘটনা নিয়ে গল্প লিখেছি। শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ছবি আঁকা হোক বা নাটক— যাঁরা যুক্ত সকলেই আইডেনটিফাই করতে পারবেন।’’
দীর্ঘ দিন পরে বাংলা ছবিতে ফিরলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘চিত্রকর আমার খুব কাছের ছবি। পণ্য ও শিল্পের যে দ্বন্দ্ব তা ছবিতে রয়েছে।’’
আরও পড়ুন, নতুন খবর দিলেন সৌরভ-মধুমিতা, কী জানেন?
কলকাতার খুব কম সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে ‘চিত্রকর’। ব্যবসায়িক সাফল্য পাবে? ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ব্যবসায়িক বুদ্ধি আমার এখনও তেমন হয়নি। তবে শুধু সিনেমাহল ছাড়াও অন্য মাধ্যম যেমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছবি রিলিজ করার ভাবনা এ বার আমাদের ভাবতে হবে।’’
আরও পড়ুন, ঋদ্ধিমা তাঁর হবু বর গৌরবকে এই অদ্ভুত নামে ডাকেন!
‘চিত্রকর’-এ একই সঙ্গে উঠে এসেছে মডার্ন ও পোস্ট মডার্ন শিল্পের নানা আঙ্গিক। অরুণ মুখোপাধ্যায়, শুভ্রজিত্ দত্ত, দেবদূত ঘোষ প্রমুখের অভিনয় সমৃদ্ধ করেছে এই ছবিকে। ছবির মিউজিকের দায়িত্ব সামলেছেন তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। ছবি দেখার পর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন পরিচালক সন্দীপ রায়। কবি জয় গোস্বামী জানালেন তাঁর ভাল লাগার কথা।