বহু রূপে দর্শকদের সামনে ধারাবাহিক ‘ওগো নিরুপমা’র ‘নিরুপমা’ ওরফে অর্কজা আচার্য।
বহু রূপে দর্শকদের সামনে ধারাবাহিক ‘ওগো নিরুপমা’র ‘নিরুপমা’ ওরফে অর্কজা আচার্য। জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে তিনি ‘এসিপি বসুন্ধরা’ সাজে, এসিপি রুদ্রর সহকর্মী। তাঁর উপস্থিতি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে শ্রীনিপার। ধারাবাহিকের নায়ক সিদ্ধার্থের বোন চোখে হারায় তার দাদার বন্ধু রুদ্রকে। মাঝখানে বসুন্ধরা এসে পড়তেই সেই প্রেমে যেন বিরহের ছোঁয়া! যদিও বাস্তবে পা ভেঙে গিয়েছে ‘শ্রীনিপা’ ওরফে ঐন্দ্রিলা সাহার। তিনি তাই ছুটিতে। দর্শকেরা বলছেন, এই সুযোগে পর্দায় রুদ্রর সঙ্গে অনেকটাই সময় কাটাতে পারবে বসুন্ধরা!
এ দিকে নিপার সঙ্গে ঘটা কাণ্ডকারখানা এ বার কি ঘটবে মৌয়ের সঙ্গেও? কালার্স বাংলার ‘মৌ-এর বাড়ি’ ধারাবাহিকে ‘অনুষ্কা’ হয়ে সংসার এলোমেলো করতে আবারও আসছেন অকর্জাই! এখানে তিনি ‘অনুষ্কা’। ‘মৌ’ ওরফে অদ্রিজার পর্দার স্বামী রূপমের বাবার বন্ধুর মেয়ে। বিদেশ থেকে ফিরেই তিনি সোজা ঢুকে পড়েছেন অদ্রিজার অন্দরমহলে। এ খবর অর্কজা নিজে জানিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনকে। এর পরেই স্বাভাবিক কৌতূহল, তাঁর ছায়া কি মৌ-এর সাজানো সংসারেও ঝড় তুলবে? প্রেম হবে ‘রূপম’ ওরফে অভিষেক বীর শর্মার সঙ্গে?
অর্কজার দাবি, ‘‘বৃহস্পতি বার থেকে সবে শ্যুট শুরু করেছি। এখনও নীল মুখোপাধ্যায় বা অভিষেকের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাইনি। বিশেষ কিছুই জানি না চরিত্র সম্বন্ধে। তবে প্রথম দিনে শট দিলাম অদ্রিজার সঙ্গে। খুব ভাল। যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।’’ ‘বসুন্ধরা’ আর ‘অনুষ্কা’ কি একই রকম? একেবারেই না, জানিয়েছেন ‘নিরুপমা’। তাঁর মতে, বসুন্ধরা অনেক শান্ত। বুদ্ধি-বিবেচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি বিচার করে। অনুষ্কা একেবারেই সাধাসিধে, হুল্লোড়ে। জীবনকে প্রতি পদে উপভোগ করে। অর্কজা তা হলে কার মতো? হাসিমাখা জবাব, ‘‘আমি এই দু'জনের মধ্যবর্তিনী। বসুন্ধরার মতো স্থিতধী নই। আবার অনুষ্কার মতো উদ্দামও নই।’’