arjun kapoor

Arjun Kapoor: জীবন অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন, তাড়াতাড়ি দেখা হবে তোমার সঙ্গে, প্রয়াত মাকে অর্জুনের চিঠি

মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি ছবি পোস্ট করে চিঠি লেখেন তিনি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের কোলে ছোট্ট অর্জুন। এক হাত তুলে মাথার উপরে কিছু একটি দেখাচ্ছে সে। মোনাও ছেলের মতোই নিজের একটি হাত উপরে তুলেছে। অর্জুন এখন সেই ছবিটির দিকে তাকালে তাঁর মনে হয়, যেন আকাশের দিকেই দেখাচ্ছিলেন তিনি। আর সেখানেই তাঁর মা রয়েছেন এখন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২ ১৪:৫৪
Share:

মা মোনা এবং বোন অংশুলার সঙ্গে অর্জুন

মোনা সুরি। বনি কপূরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। যাঁদের সন্তান অর্জুন কপূর এবং অংশুলা কপুর। ২০১২ সালের ২৫ মার্চ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মোনা। ১০ বছর হয়ে গেল, দুই সন্তানকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তিনি। তার অনেক আগেই বনি দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেলেছেন। শ্রীদেবীর সঙ্গে নতুন জীবন তাঁর। দুই মেয়ে জাহ্নবী কপূর এবং খুশি কপূর। ফলে মায়ের প্রয়াণের পরে ভীষণ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন অর্জুন-অংশুলা। সে কথা আগেই একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘ইশাকজাদে’-র নায়ক।

শুক্রবার বিকেলে তাঁর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি ছবি পোস্ট করে চিঠি লেখেন তিনি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের কোলে ছোট্ট অর্জুন। এক হাত তুলে মাথার উপরে কিছু দেখাচ্ছে সে। মোনাও ছেলের মতোই নিজের একটি হাত উপরে তুলেছেন। এখন সেই ছবিটির দিকে তাকালে অর্জুনের মনে হয়, যেন আকাশ দেখাচ্ছিলেন তিনি। আর সেখানেই তাঁর মা রয়েছেন এখন।

Advertisement

ছবির পাশে একটি চিঠি লেখেন অর্জুন। হাহাকার বেরিয়ে আসে তাঁর লেখায়। জীবন সম্পর্কে নির্লিপ্তি প্রকাশ পায়। এই ১০টি বছর কী ভাবে কেটেছে তাঁর, সে কথাই লিখেছেন তিনি।

অর্জুন লিখেছেন, ‘ওই ওখানেই আমাদের আবার দেখা হবে মা। যেখান থেকে তুমি আমাকে আর অংশুলাকে দেখতে পাও। কবে তোমার সঙ্গে দেখা করব? কবে তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরবে আর এক বার? কবে আমার দিকে তাকিয়ে হাসবে আর এক বার? কবে তোমার গলার আওয়াজ শুনতে পাব আবার? খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে আমাদের। ১০ বছর হয়ে গেল, তোমাকে দেখিনি। এই জীবনের সব কিছুই অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন লাগে। সাফল্য হোক বা ব্য়র্থতা, প্রতিটি মুহূর্তে মনে পড়ে, তুমি নেই। এ জীবন নির্দয়। তোমার আত্মত্যাগ যে দাম পেয়েছে, তা দেখতে পাওয়ার আগেই জীবন তোমাকে কেড়ে নিয়েছে।’

Advertisement

অর্জুনের লেখায় জানা গেল, তাঁকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, ‘‘অর্জুন, তুমি হাসো না কেন?’’ তার উত্তর তিনি এই চিঠিতে দিলেন। তিনি জানালেন, ১০ বছর আগেই তাঁর হাসি তাঁর মায়ের সঙ্গে চলে গিয়েছে। এখনও তিনি নিজেকে খুঁজে পান না। নিজেকে চিনতে পারেন না।

শেষে তিনি লিখলেন, ‘আজকের দিনটা জঘন্য। আগামী কাল হয়তো এর থেকেও খারাপ হবে বা একটু ভাল হবে। কিন্তু তুমি নেই। তাই একাই সেই দিনটার সঙ্গে লড়াই করতে হবে আমায়। আশা করি, তুমি আমায় দেখছ। আমি তোমার অর্জুন, তোমার বীরপুরুষ।’

অংশুলাও তাঁর মা এবং দাদার একটি ছবি পোস্ট করে চিঠি লিখেছেন। মায়ের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তের কথা মনে পড়ে তাঁরও। এই দিনটিতে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না তাঁর। সে কথাই লিখেছেন দীর্ঘ পোস্টে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement