বাঙালি নায়িকারা কি মুম্বইয়ের মতো এই পোশাকে ততটাও উষ্ণ নন?
বলিউড নায়িকাদের নেটমাধ্যমে উঁকি দিয়ে দেখুন। বিকিনি লুকে ছয়লাপ! সে সব যেন হটকেক। ছবি আসতে না আসতেই ভাইরাল। সংবাদমাধ্যমেও দিব্যি জায়গা করে নিচ্ছে সে সব ছবি। ইদানীং কিছু টলিউড নায়িকার বিকিনি ছবি চর্চায়। কিন্তু সেখানে যেন ‘গেল গেল’ রব বেশি। বাঙালি নায়িকারা কি মুম্বইয়ের মতো এই পোশাকে ততটাও উষ্ণ নন? কেন তাঁদের নিয়ে চর্চা হয় না? আনন্দবাজার কথা বলেছিল রুক্মিণী মৈত্র, টোটা রায়চৌধুরী, অরুণিমা ঘোষের সঙ্গে। কী বলছেন তাঁরা?
রুক্মিণীর দাবি, ‘‘দীপিকা পাড়ুকোন শুধু বিকিনি নয়, ত্বকচর্চা করলেও খবর হয়। কারণ, মুম্বই সংবাদমাধ্যম ওঁত পেতে থাকে ওঁদের পোস্ট দেখে খবর করার জন্য। সেই জায়গা থেকে বাঙালি নায়িকারাও তাঁদের মতো করে ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু ওঁদের মতো করে হয়তো পৌঁছতে পারছেন না। ফলে, ওঁদের নিয়ে যে রকম হইহই হচ্ছে টলিউডের নায়িকাদের নিয়ে সেই হইচই নেই। একটি ছবি পোস্ট করলে তিন দিন পরে সবার নজর পড়ে। এটা কম চর্চার অন্যতম কারণ।’’ পাশাপাশি, বাংলা ছবিতেও বিকিনি পরে অভিনয় বা দৃশ্যের সুযোগ নেই। ফলে, শর্মিলা ঠাকুরের পরে রুক্মিণী এই পোশাকে মনে রেখেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। যিনি খোলামেলা পোশাকেও সমান সপ্রতিভ।
নিয়মিত শরীরচর্চায় টোটা এখনও টানটান। ‘ভিলেন’ ছবিতে তিনিই প্রথম সিক্স প্যাক দেখিয়েছিলেন। নায়িকাদের ‘বিকিনি লুক’ নিয়ে পর্দার ‘ফেলুদা’র কী মত? টোটার সাফ জবাব, ‘‘এটা আর নতুন কী? আমরা তো সারা ক্ষণই মুম্বইয়ের দিকে ঝুঁকে। বাংলার কদর কতটুকু করি? শরীরচর্চার জন্য মায়ানগরীর তারকাদের ২৪ ঘণ্টার প্রশিক্ষক থাকেন। বাংলার তারকাদের সেই সুযোগ নেই। তার পরেও এখানকার নায়িকারা শরীরচর্চা করে বিকিনি পরছেন সেটা প্রশংসার যোগ্য। ওঁদের পরিশ্রম, ওঁদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ।’’
বিকিনি পরা নায়িকার বিপরীতে টোটা অভিনয় করবেন? অভিনেতার দাবি, কোনও দিনই তাঁর ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল না। খোলামেলা পোশাকের নায়িকাকেও দেখা যায়নি। পর্দার রোহিত সেনের মতে, ‘‘অভিনেতা হলেও আমি সংসারী। এটা সব সময় মনে রেখেছি। তাই অকারণ সাহসী হওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে প্রথম সারির পরিচালক বা ভাল চিত্রনাট্য এ রকম কিছু দাবি করেন তখন বিষয়টি ভেবে দেখতেও পারি।’’
বিষয়টি নিয়ে অরুণিমার মত সামান্য ভিন্ন। তাঁর কথায়, হলিউড বা বলিউড তারকারা খুব অনায়াস ভঙ্গিতে ছবিগুলো দেন। অথবা গুছিয়ে ফটোশ্যুট করেন। তাই হয়তো তাঁদের ছবি চোখ টানে বেশি। কিন্তু অরুণিমা নিজে সেই ধরনের ছবি দিতে রাজি নন। কেন? নায়িকার স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমার চেহারা দীপিকা পাড়ুকোন বা দিশা পাটানির মতো নয়। বিকিনি পরতে গেলে শরীরের গঠন-মাপ সে রকমই হওয়া চাই। তবে পরলে মানায়। আমার সেটা নেই। ফলে, শুধু চর্চিত হওয়ার জন্য এই পোশাক পরব কেন?’’
ইদানীং নুসরত জাহান, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, ত্রিধা চৌধুরী, মনামী ঘোষ, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বিকিনিতে ধরা দিচ্ছেন। অরুণিমার চোখ কার ছবিতে আটকে যায়? ‘লেডি চ্যাটার্জি’র মতে, ‘‘প্রত্যেকেই তাঁদের মতো করে সুন্দর। তবে বিকিনি ফিগার অবশ্যই ত্রিধা আর সুস্মিতার। আর এক জনের কথা না বললেই নয়। তিনি মুনমুন সেন। মুনদি আমার চোখে সেরা বিকিনি-সুন্দরী।’’