গানবাজনার বোধ ছিল খুব ভাল। আসলে ওদের পুরো পরিবারই তো গানবাজনার সঙ্গে যুক্ত। ওর মা বাঁশরি লাহিড়ী যখন গাইতেন, ও তবলা বাজাত। তবলাও বাজাত খুব ভাল। আর সবসময়েই খুব হাসিখুশি থাকত।
‘তখন তোমার একুশ বছর বোধহয়’ তো লেজেন্ড হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়াও অনেক ছবিতে আমায় দিয়ে গাইয়েছে বাপ্পি, যেমন ‘হমকদম’, ‘মনোকামনা’। বড় প্রোডাকশনগুলো মনে আছে। ছোট প্রোডাকশনেও তো অনেক কাজ করেছি। সেগুলো মনে নেই। আমাকে দিয়ে অনেক গান গাওয়াতে চাইত। কিন্তু তখন বম্বেতে ও-ও তো সবে শুরু করেছে। ওকে ওখানে সকলের কথা শুনে চলতে হত। আর আমাদের মধ্যে কিন্তু খুব প্রতিযোগিতা ছিল। কারণ বাইরে গিয়ে সকলেই তখন চেষ্টা করছি নিজের জায়গা তৈরি করার। ভাল কাজ না করলে তো টিকে থাকতে পারব না।
তবে আমাকে খুব ভালবাসত। আমাদের সম্পর্কটা ছিল দিদি আর ভাইয়ের মতো। ওর পরিবারের সঙ্গেও আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।
গানবাজনার বোধ ছিল খুব ভাল। আসলে ওদের পুরো পরিবারই তো গানবাজনার সঙ্গে যুক্ত। ওর মা বাঁশরি লাহিড়ী যখন গাইতেন, ও তবলা বাজাত। তবলাও বাজাত খুব ভাল। আর সবসময়েই খুব হাসিখুশি থাকত। রেকর্ডিংয়ের সময়েও কখনও উত্তেজিত হতে দেখিনি। ‘সংগ্রাম’ ছবিতে আমাকে দিয়ে খুব উঁচু স্কেলে একটা গান গাওয়াবে। আমাকে বলল, ‘‘দিদি তোমায় একটু কষ্ট দেব। কিন্তু এক টেকেই ওকে করব।’’ করেছিলও তাই। আর খুব খাদ্যরসিক ছিল। হয়তো ওদের বাড়িতে গিয়েছি, সে দিন ভাল রান্না হয়েছে, আমাকে বলত, ‘‘দিদি খেয়ে যাও, আজ মোচার ঘণ্ট হয়েছে।’’ খেতে ভালবাসত আর খাওয়াতেও ভালবাসত। তবে ওর এখনও যাওয়ার বয়স হয়নি। এখনও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল গানের জগতে। খুব কষ্ট হচ্ছে ওর জন্য।