‘লক্ষ্মী কাকিমা’র বর কেমন?
বৌভাত থেকে বর্তমান— ২৫ বছরের স্মৃতি অমলিন। শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল দম্পতির সঙ্গে। রবিবার রাত থেকেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন তাঁরা। এ বারের বিবাহবার্ষিকীতে অপরাজিতা-অতনু হৃষিকেশে। তারকা স্ত্রীর মানত, নীলকণ্ঠ বাবাকে পুজো দেবেন। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। তাই তাঁর ইচ্ছাপূরণের জন্য বিশেষ দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন অতনু।
দাম্পত্য নিয়ে কথা উঠলেই পর্দার ‘লক্ষ্মী কাকিমা’ শ্বশুরবাড়ির গল্প করেন। শাশুড়ির জন্য ঢালাও প্রশংসা তাঁর। অতনুকে নিয়ে খুব কম শব্দই খরচ করেন! এটা কেন? কোনও অভিমান?
অভিনেত্রীর বদলে জবাব দিয়েছেন অতনু। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা পর্দার অপরাজিতাকে যেমন দেখেন বাস্তবেও ও তেমনই। হো হো হাসি। সবার সঙ্গে মেশা। কারওর বিপদ শুনলেই ঝাঁপিয়ে পড়া। গুছিয়ে সংসার করা। সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা। এবং দিনের শেষে নিজেদের ভাল-মন্দ নিজেরাই বসে মিটিয়ে নেওয়া। তার জের পরের দিন আর থাকে না। ২৫ বছর ধরে এ গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে অপা। ‘অভিমান ২’ হওয়ার রাস্তাই রাখেনি।’’
গত ২৫ বছর ধরে অপরাজিতা এক রকম। কোনও হেরফের তাঁর মধ্যে নেই! এটাও সম্ভব? অতনুর দাবি, অবশ্যই কিছু বদল এসেছে। তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী আগের থেকেও বেশি আত্মবিশ্বাসী। জীবনের উত্থান-পতন দেখতে দেখতে, নিজেকে প্রমাণিত করতে করতেই এ গুলো সম্ভব হয়েছে। এবং স্ত্রীর সাফল্য প্রতি মুহূর্তে গর্বের সঙ্গে উপভোগ করে চলেছেন তিনি। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘স্বভাবে আমি আর আমার স্ত্রী একদম উল্টো মেরুর। অপরাজিতা দিলখোলা। আমি খুব ভাল শ্রোতা। বেশি হইহই করতে পারি না। কথাও বলতে পারি না। এই বৈশিষ্ট্যই বোধহয় এক সঙ্গে বেঁধে রেখেছে আমাদের।’’