Entertainment News

‘তারকা হলেই এ ভাবে কথা বলা যায় নাকি?’ প্রশ্নের মুখে অনুষ্কা

ঠিক এ বিষয়টি নিয়েই সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন গতকালের ওই ব্যক্তি আরহান সিংহ। অনুষ্কার ব্যবহার দেখে তিনি রীতিমতো অবাক!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৮ ১৬:৪৩
Share:

ভিডিওর দৃশ্যে অনুষ্কা এবং আরহান। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

গাড়ি থেকে রাস্তায় প্লাস্টিক ফেলছিলেন এক ব্যক্তি। আর তা দেখে রাগ সামলাতে পারেননি অনুষ্কা শর্মা। নিজের গাড়ি থামিয়ে ওই ব্যক্তিকে পরিচ্ছন্নতার পাঠ দেন তিনি। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো গত রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিরাট কোহালির মাধ্যমে। সকলেই অনুষ্কার পরিবেশ সচেতনতার প্রশংসা করেন। কিন্তু অনুষ্কা যে ব্যবহার করেছেন, তা আদৌ ঠিক ছিল কি?

Advertisement

ঠিক এ বিষয়টি নিয়েই সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন গতকালের ওই ব্যক্তি আরহান সিংহ। অনুষ্কার ব্যবহার দেখে তিনি রীতিমতো অবাক!

আরহান লিখেছেন, “এই পোস্ট থেকে কোনও প্রচার পাওয়ার উদ্দেশ্য আমার নেই। ভয়ঙ্কর! গাড়ি চালাতে গিয়ে অসচেতন ভাবে আমি এটা ছোট প্লাস্টিক রাস্তায় ফেলেছিলাম। হঠাত্ই দেখি একটি গাড়ি থামিয়ে অনুষ্কা শর্মা চিত্কার করছেন। আমার অসচেতনতার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু অনুষ্কা শর্মা যদি অন্যভাবে কথাটা বলতেন, তা হলে কি তাঁর তারকাসুলভ ওজন কিছু কমে যেত? ভুল করে আমার গাড়ি থেকে নোংরা প্লাস্টিক পড়েছে, মুখ থেকে তো নোংরা ভাষা বেরোয়নি…।”

Advertisement

রবিবার গাড়ি থেকে আরহানকে প্লাস্টিক ফেলতে দেখে অনুষ্কা রেগে বলেছিলেন, ‘‘আপনি রাস্তায় নোংরা ফেলছেন কেন? মনে রাখবেন, রাস্তায় আপনি এ ভাবে প্লাস্টিক ফেলতে পারেন না।’’

সেই ভিডিয়ো ওয়েব ওয়ালে শেয়ার করে বিরাট লিখেছিলেন, ‘‘দেখুন, এরা রাস্তায় নোংরা ফেলছেন…। ব্র্যান্ডেড গাড়িতে চলাফেরা করছেন, অথচ বুদ্ধি রয়েছে পায়ে। এরা আমাদের দেশকে পরিষ্কার রাখবে? …আপনিও যদি এমন কিছু দেখেন, তা হলে একই ভাবে প্রতিবাদ করুন, সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।”

আরও পড়ুন, ব্রেক নিয়ে শহর ছেড়েছিলেন রচনা, কিন্তু কেন?

শুধু আরহানই নন, তাঁর মা গীতাঞ্জলি এলিজাবেথও সোশ্যাল মিডিয়ায় এক হাত নিয়েছেন বিরুষ্কাকে। তাঁর প্রশ্ন, সামাজিক ভাবে কারও মর্যাদাহানি করার সাহস ওঁদের কী ভাবে হল? তিনি গোটা ঘটনাটিকে ‘সস্তা পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলেও দেগে দিয়েছেন।

এলিজাবেথ লিখেছেন, “আপনারা দু’জনেই ভিডিয়োটি পোস্ট করে গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকার ভেঙেছেন। আপনারা হয়তো নিজেদের জগতে অনেক ক্ষমতা রাখেন, কিন্তু এই কাজটা সম্ভবত করেছেন সস্তা পাবলিসিটির জন্য। আপনারা আমার ছেলের মুখটা ঝাপসা না করেই পোস্ট করলেন! এমনকী আপনাদের যা অভিযোগ, সে কাজটা ও করেছে কিনা তারও কোনও প্রমাণ নেই। আমি তো ওর সুরক্ষা নিয়েই এখন চিন্তিত।” তাঁর অভিযোগ, সামাজিক ভাবে তাঁর ছেলের সম্মানহানি করার সাহস বিরাট-অনুষ্কা কী করে পেলেন? ‘‘আপনারা কী প্রমাণ করতে চাইলেন? আপনারা সভ্য নাগরিক? আর এ ভাবে নিজেদের ফ্যান ফলোয়িং বাড়িয়ে নিলেন?” প্রশ্ন এলিজাবেথের।

আরও পড়ুন, জন্মদিনে নিজেকে কী গিফট দিলেন বিদীপ্তা?

আরহান এবং গীতাঞ্জলি মুখ খোলার পর, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, সত্যিই কি অনুষ্কা শর্মা ওই ব্যবহার করতে পারেন? তিনি পরিবেশ সচেতন, এ কথা ঠিক। কিন্তু কোনও অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে কি এই ভাবে কথা বলা যায়? তাঁর ভুলটা ধরিয়ে দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা বলারও তো নির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকে। তিনি তারকা বলেই কি যে কোনও মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারেন? উঠছে এ প্রশ্নও। যদিও এ দিন গোটা ঘটনা নিয়ে বিরাট বা অনুষ্কা কেউই মুখ খোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement