আশা ভোঁসলের গানের সঙ্গে অশ্লীল পোশাক?
উৎসবের আমেজে আশা ভোঁসলের গানে ঠোঁট মিলিয়ে দেদার নাচলেন অঞ্জলি অরোরা। তার পরই নিন্দকদের সুর চড়ল। অঞ্জলির পোশাক নাকি ঠিক ছিল না। লাল-কমলা ফিতে দেওয়া ড্রেসের গলা এতটাই বড় যে, বক্ষ-সম্পদ উপচে উঠছিল প্রাক্তন বিগ বস তারকার! সে দিকেই নজর করলেন এক দল। নাচের ভিডিয়ো কেমন হয়েছে, তার চেয়ে বেশি চর্চায় চলে এসেছিল অঞ্জলির পোশাক, তাঁর উন্মুক্ত বক্ষ বিভাজিকা।
যদিও এ বার আর প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করলেন না অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘দেখুন, এটা আমার শরীর। আমি কেমন পোশাক পরব, তা আমিই ঠিক করব।’’
তাঁকে ভুবন বাদ্যকর হতে হয়নি। ভাইরাল ‘কাঁচা বাদাম’ গানে ঠোঁট মিলিয়ে নেচেই ফের ভাইরাল হয়েছেন অঞ্জলি। কঙ্গনা রানাউতের লক আপ রিয়্যালিটি শো-তেও বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন তিনি। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। এমএমএস-কাণ্ডে ফেঁসে কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল অঞ্জলির। ভাইরাল হওয়া যৌনমিলনে লিপ্ত এক নারীশরীরকে তাঁর বলেই গুলিয়েছিলেন অধিকাংশ মানুষ। বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না অঞ্জলি, যে সেই তরুণী আর তিনি এক নন। সেই ঘটনার পর এমনিতেই পান থেকে চুন খসলে তাঁকে নিয়ে গুজব রটে। পোশাক নিয়েও তেমনই সমালোচনা শুরু হয়েছিল সম্প্রতি। ‘রস’ ছবির বিখ্যাত গান, আশার গলায় ‘সাজনা হ্যায় মুঝে, সাজনা কে লিয়ে’তে অশ্লীল পোশাক পরার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে এ সব আর ধর্তব্যের মধ্যে আনতে চাইছেন না অঞ্জলি। সাফ জানালেন, ‘‘লোকে শাড়ি পরলেও কথা শোনায়। ক্রপ টপ পরলেও তো পেট দেখা যায়। শাড়ি পরলেও একই ব্যাপার। সবই অশ্লীল? আসলে লোকে তক্কে তক্কে থাকে। ট্রোল করার ফিকির খোঁজে।’’
অঞ্জলির দাবি, সবাইকে খুশি করে চলা যায় না দুনিয়ায়। ভালবাসা যেমন পাওয়া যায়, ঘৃণা, নিন্দাও জীবনধারণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া উচিত।