স্ত্রী মধুরিমা গোস্বামীর সঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
মধুরিমা গোস্বামীর সঙ্গে বিয়ের ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই কটূক্তির শিকার অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তাঁদের বিয়ের ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করে কেউ কেউ কটাক্ষ করেছিলেন, মধুরিমার সিঁদুর পরার ধরন নিয়ে। কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘মালাবদল ও সিঁদুর পরানোর মতো রীতি মানা হল কেন?’ এ ছাড়াও নানাবিধ মন্তব্যের বিরাম ছিল না।
আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় শনিবার সেই সমস্ত ট্রোলের প্রসঙ্গ উঠলে অনির্বাণ বলেন, ‘‘আসলে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ট্রোলে ‘ইমিউনড’ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এগুলি আর ভাবায় না কাউকে। এই সমস্ত অশ্লীল কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা আসলে এ সব থেকে অক্সিজেন পান।’’ অনির্বাণের আক্ষেপ, এই সমাজকে নিয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘সমাজ এখন এই জায়গাতেই চলে এসেছে। হয়তো সকলে মিলে একসঙ্গে ফোঁস করে উঠলে এ সব বন্ধ হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাঙালিরা কখনওই একসঙ্গে কিছু করে না।’’
২০২০ সালে বিয়ের পরেই আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রোলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘নেটমাধ্যম আর প্রতিবাদের জায়গায় নেই। ওখানে বলে, করে আর কিচ্ছু হবে না। ওটা এখন ট্রোল, মিমের রাজত্ব।’’ সেই বিশ্বাসই যে তাঁর মনে এখনও গাঢ় হয়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট হল শনিবারের লাইভ আড্ডায়।
গত বছরের ডিসেম্বরে মূকাভিনয় শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামীর মেয়ে নাট্যব্যক্তিত্ব মধুরিমাকে বিয়ে করেন অনির্বাণ। ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’-এ আলাপ হওয়া সেই যুগল সল্টলেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটে বিয়ে করেন। সম্পর্কের প্রথম থেকেই ব্যক্তিগত পরিসরে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেননি অনির্বাণ এবং মধুরিমা। বিয়ের সময়ে বা তাঁর পরেও নিজেদের দাম্পত্যকে প্রচারের আ়ড়ালে রেখেছেন ওঁরা।