অনিন্দ্যর জন্মদিনে হাজির মিমি
বয়স বাড়ুক আরও একটা বছর। এগিয়ে যান তিনি মধ্য তিরিশের দিকে। তবু জন্মদিন বলে কথা!
আনন্দ, হুল্লোড়, কাজ নিয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রবল ব্যস্ত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। বুধবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দবাজার অনলাইন ফোন করেছিল অভিনেতাকে। অনিন্দ্য তখন স্টুডিয়োয়। স্টার জলসার ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকের সেটে। সে কথা জানিয়ে বললেন, ‘‘জন্মদিন মানেই নতুন করে এগিয়ে যাওয়া। নতুন নতুন চরিত্র হয়ে ওঠা। আপাতত সেটাই করছি। আমি এখন বিখ্যাত হিরে ব্যবসায়ী সিংহ রায় পরিবারের মেজ ছেলে রাহুল।’’ গত রাত থেকে মোট তিনটি কেক কেটে ফেলেছেন। তখনই ফাঁস, কাঁটায় কাঁটায় রাত ১২টায় বন্ধু মিমি চক্রবর্তী এসেছিলেন। হাতে কেক। সঙ্গে আরও কয়েক জন বন্ধু এবং প্রেমিকা রোমি দত্ত।
প্রতি দিনের মতো এ দিনও অনিন্দ্যর সকাল শুরু হয়েছে সাইকেলে ঘুরপাকে। তার পরেই তৈরি হয়ে ছুট স্টুডিয়োয়। অনিন্দ্য খুব আশা করছেন, জন্মদিনের দিন বিকেল বিকেল হয়তো ছুটি পেলেও পেতে পারেন। কী করবেন তখন? অভিনেতার বক্তব্য, ‘‘সবার আগে বাড়ি যাব। সেখানেই ছোটখাটো পার্টি হবে। বন্ধুরা আসবে। রোমি থাকবে। আর নৈশভোজে থাকবে বিরিয়ানি। আমার পছন্দের পদ’’, তৃপ্ত শোনায় কণ্ঠস্বর।
জন্মদিন মানেই অনেকের কাছে নতুন শপথের দিন। অনিন্দ্যর কাছে কি নতুন ট্যাটু করানোর দিন?
এ বার অট্টহাসি। জবাব এল, ‘‘কোনও শপথ-টপথ নিই না। কারণ শেষ পর্যন্ত সেটা থাকে না। আপ্রাণ চেষ্টা করব ভাল মানুষ হতে। ওটা হলেও হতে পারব হয়তো।’’ রোমি এখনও উপহার তুলে দেননি তাঁর হাতে! অনিন্দ্যর কথায়, হয়তো বিকেলে উপহার পাবেন তিনি। অভিনেতা কী ফিরতি উপহার দেবেন তাঁর অনুরাগীদের? ‘‘ভাল অভিনয়, ভাল চরিত্র— অভিনেতা হিসেবে এ ছাড়া আর কী দিতে পারি?’’ পাল্টা প্রশ্ন তাঁর।
নেশা থেকে পেশা হয়ে প্রেম— কোনও ব্যাপারেই কখনও ভনিতা নেই। কত বয়স হল? জন্মদিনে এই প্রশ্নেরও কি সহজ জবাব দেবেন? এ বার যেন একটু থমকালেন অনিন্দ্য! তার পরেই ফের সপ্রতিভ— ‘‘তিরিশের কোঠা পেরিয়ে আরও কয়েকটা বছর এগিয়ে গেলাম। নির্দিষ্ট সংখ্যা জেনে কী হবে? বয়স তো কেবলই সংখ্যামাত্র।’’