অনিন্দিতা রায়চৌধুরী
১০ বছর দাপিয়ে ক্যামেরার পিছনে কাজ করেছেন। ক্যামেরার সামনেও তিনি সমান অনায়াস। ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে নোয়ার মতোই জনপ্রিয় ‘নোয়ার মা’ অনিন্দিতা রায়চৌধুরী। তার পরেও তাঁর আক্ষেপ, তিনি ছোট পর্দার অভিনেত্রী বলে আজও উপেক্ষিত!
বুধবার তিনি সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর সামাজিক পাতায়।তাঁর দাবি, বড়-ছোট পর্দায় অভিনয় নিয়ে বৈষম্য তৈরি করেছেন ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষ। এই বিষয়ে ‘পর্দার মা’-কে সমর্থন জানিয়েছেন নোয়া শ্রুতি দাস। আনন্দবাজার অনলাইনকে সাফ জানিয়েছেন শ্রুতি, ‘‘অনি মাম্মা কটাক্ষকারীদের তাঁর কাজ দিয়ে সপাটে চড় মারবেন।’’
নেটমাধ্যমে অনিন্দিতা জানিয়েছেন, এই বৈষম্য এক দিনের নয়। তিনি ১০ বছর বড় এবং ছোট পর্দায় ক্যামেরার পিছনে সফল ভাবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ‘ধুলোকণা’, ‘কাদম্বিনী’, ‘ভূতু’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’-র মতো একাধিক হিট ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি ছোট পর্দার অভিনেত্রী বলে তাঁর কোনও লজ্জা নেই। কিন্তু বাকিদের তাঁকে নিয়ে যেন বেশি মাথাব্যথা। সেই জায়গা থেকেই অনিন্দিতার দাবি, অভিনয় জানলে ছোট, বড় যে কোনও পর্দাতেই অনায়াসে কাজ করা যায়।
একই সঙ্গে তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, ‘শুধুমাত্র নেটমাধ্যমে নিজেকে উচ্চশিক্ষিত এবং আমি ছাড়া বাকি সব খারাপ "প্রমাণ করার চেষ্টাটা" বড্ড বোঝা যায় আসলে’! তাঁর এও দাবি, সত্যি বলেন বলে তিনি খারাপ! পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই অভিনেত্রীকে মন্তব্য বিভাগে সমর্থন জানিয়েছেন, মিমি দত্ত, অনন্যা সেনগুপ্ত, রাহুল দেব বোস সহ একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী।
পর্দার এই মাকে জন্মদাত্রী মায়ের মতোই সম্মান করেন, ভালবাসেন শ্রুতি। অনিন্দিতাকে নিয়ে এই ধরনের কটাক্ষে তিনি বিরক্ত। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘অনি মাম্মা ক্যামেরার পিছনেও যেমন দক্ষ তেমনি সামনেও। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে এত কটাক্ষ।’’ শ্রুতি নিজেও ছোট পর্দার অভিনেত্রী। তিনিও হামেশাই কটাক্ষের শিকার। পর্দার ‘নোয়া’-র মতে, ‘‘এ সব গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আমার মা আমার মতোই স্পষ্টবাদী। আমাদের নিয়ে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ, কৌতূহল ইদানীং মন ভাল করে দেয় আমাদের।’’