ছবি ব্যর্থ হওয়ার পিছনে চিত্রনাট্যের দৈন্য যত না, দর্শক তার চেয়েও বেশি দায়ী করছেন অনন্যাকে।
স্বপ্ন সফল হল পরিকল্পনামাফিক। দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডা বলিউডে আত্মপ্রকাশ করলেন। ২৫ অগস্ট মুক্তি পেল পুরী জগন্নাথ পরিচালিত ‘লাইগার’। তবে, কোটি দর্শকের হৃদয় ভাঙলেন নায়িকা অনন্যা পন্ডে। ছবি ব্যর্থ হওয়ার পিছনে চিত্রনাট্যের দৈন্য যত না, দর্শক তার চেয়েও বেশি দায়ী করছেন অনন্যাকে। বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখে পয়সা ফেরত চাইলেন ক্ষুব্ধ দর্শক। তাঁদের দাবি, অনন্যাকে এ ছবিতে নেওয়া উচিত হয়নি। অভিনয়টা তিনি একেবারেই করতে পারেননি।
বলিউডে তৈরি, দক্ষিণী তারকার উপস্থিতি— সব মিলিয়ে সর্বভারতীয় ছবিটি থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল মানুষের। কিন্তু নির্দেশনা এবং দুর্বল চিত্রনাট্যে এমনিতেই ছবির বক্স অফিসে ধরাশায়ী হওয়ার যথেষ্ট বড় কারণ বলে মনে করছেন সমালোচকরা। তবে অন্য সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে অনন্যার দুর্বল অভিনয় এবং সংলাপ। সে কারণে নেটমাধ্যমে এখন পা রাখা দায়। অনন্যার নিন্দায় ভেসে যাচ্ছে লাইগার-সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট।
এক দৃশ্যে অনন্যার অভিনীত চরিত্র, তানিয়ার মুখে শোনা যায়, সে তার অভিনয় জীবন শুরু করতে হলিউডে যাবে। শ্রোতারা সেই সংলাপই সমালোচনার অস্ত্র করলেন। এক জন ব্যঙ্গ করে লিখলেন, ‘তাই ভাবি এমন প্রতিভা বলিউডে পড়ে পড়ে নষ্ট হবে কেন, আপনার তো স্কারলেট জোহানসন, এমা ওয়াটসনের সঙ্গে তুলনা হওয়া উচিত!’
আবার কেউ লিখলেন, ‘আগে বলিউডে আসার যোগ্য হও বোন, তার পর নয় হলিউডের কথা ভেবো।’
বলিউডের শেষ কয়েকটি ব্যর্থ ছবির সঙ্গে যদি ‘লাইগার’-এর তুলনা করা যায়, তা হলেও দেখা যাবে এ ছবি বক্স অফিসের আয়ের দিক থেকেও তলানিতে। ‘লাল সিংহ চড্ডা’ এবং ‘রক্ষা বন্ধন’-এর প্রথম দু’দিনের আয় যেখানে ছয় থেকে ন’কোটি টাকা ছিল, সেখানে ‘লাইগার’ সাড়ে চার কোটিও পেরোতে পারেনি।আইএমডিবিতেও ‘লাইগার’-এর রেটিং দেখলে চমকে উঠতে হয়। ১০ এর মধ্যে ১.৭! যেখানে আমির খানের ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ৫, অক্ষয় কুমারের ‘রক্ষা বন্ধন’ ৪.৬, তাপসী পান্নুর ‘দোবারা’ ২.৯ এবং রণবীর কপূরের ‘শামশেরা’ ৪.৯ রেটিং পেয়েছে। এটি আইএমডিবিতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া ভারতীয় ছবি। মাত্র ১৬,৫৫১ জন দর্শক ভোট দিয়েছেন এই ছবিকে।