অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। ১ সেপ্টেম্বরের মিছিলে যোগ দিতে পথে নামছেন অভিনেত্রী। এই মহামিছিলে বিনোদন জগতের শিল্পীদের বিশেষ ভূমিকা থাকবে মনে করা হচ্ছে। প্রতিটি মিছিল ঘিরেই একটি প্রশ্ন উঠছে, আন্দোলনকারীদের মধ্যে কি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে? ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচি থেকেই এই বিতর্ক জারি রয়েছে।
অনন্যা মনে করেন, প্রত্যেকের নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত থাকতে পারে। কিন্তু এই মিছিলে দলীয় পতাকার কোনও জায়গা নেই। অভিনেত্রী বলেন, “এত মানুষ এই মিছিলে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা সকলে ভোট দেন। তাঁদের নিশ্চয়ই নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত রয়েছে। কিন্তু মিছিলে কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আসছে না। বার বার তাই আমরা বলছি, মিছিলে যেন দলীয় পতাকা বা স্লোগান না থাকে।”
আরজি করের প্রতিবাদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ সমাজের নাগরিকের একাংশের। তাতে অবশ্য অবাক নন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “যে কোনও ঘটনা ঘটলে রাজনৈতিক দলগুলি রাজনীতি টানার চেষ্টা করবেই। সেটাই তাদের কাজ। সারা বিশ্ব জুড়ে এটাই হয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা এই নিয়মের বাইরে গিয়ে পথে হাঁটছি। আমরা কেউ সক্রিয় ভাবে দলীয় রাজনীতি করি না। অথবা কেউ সক্রিয় রাজনীতি করলেও এই মিছিলে নিরপেক্ষ ভাবে যোগ দেবেন, তাতেও কোনও অসুবিধা নেই।”
আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। ধর্ষণ ও খুনের পাশাপাশি এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং অভিযোগ দায়েরের সময় নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রশ্নগুলিও থাকছে রবিবারের মিছিলে। অনন্যা বলেছেন, “আমরা অন্যায়ের বিচার চাইছি। সিবিআই-এর কাছে এই তদন্তের বিচার চাইছি। যদি এই ঘটনায় কোনও বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে কেউ, বা প্রমাণ লোপাট করা হয়ে থাকে, তাদেরও যেন চিহ্নিত করা হয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য— দফা এক, দাবি এক, সব দোষীরা শাস্তি পাক।”
এই মিছিলের নাম করে টাকা তোলার প্রসঙ্গও প্রকাশ্যে এসেছে। বিদীপ্তা চক্রবর্তী-সহ টলিপাড়ার আরও কয়েক জন অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন, এই মিছিলের নাম করে জালিয়াতি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অনন্যা বলেন, “প্রত্যেক ঘটনাতেই কিছু মানুষ থাকে যারা নিজস্ব ফয়দা তোলার চেষ্টা করে। তাই আমরা সাবধান করেছি বার বার। কারণ এই মিছিলের জন্য কোনও টাকা তোলা হয়নি। ভবিষ্যতে সংগঠনের জন্য টাকা প্রয়োজন হয় তা হলে নির্দিষ্ট পেজ থেকেই তা সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।”