আবার বলছি, রাজেশ সাধারণ মানের অভিনেতা

বোমা ফাটিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন ডিম্পল-টুইঙ্কলরা। তাতে নির্বিকার নাসির মুম্বই শহরতলির ফার্মহাউজ থেকে মঙ্গলবার ইন্টারভিউ দিলেন সায়ন আচার্য-কেবোমা ফাটিয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন ডিম্পল-টুইঙ্কলরা। তাতে নির্বিকার নাসির মুম্বই শহরতলির ফার্মহাউজ থেকে মঙ্গলবার ইন্টারভিউ দিলেন সায়ন আচার্য-কে

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০০:২৩
Share:

শর্ত: ১) দশটার বেশি প্রশ্ন করা যাবে না। ২) তিনি যা বলবেন সবটাই হুবহু ছাপতে হবে। এডিট করা যাবে না। ৩) রাজেশ বিতর্ক এড়াতে তিনি যেহেতু ফোন ধরছেন না, যাবতীয় জবাব মেল-য়ে দেবেন।
সম্ভবত রাজেশ খন্না নিয়ে যে বিতর্ক তিনি দিনকতক আগে তৈরি করেছেন সেজন্যই এমন দৃঢ় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সমস্যা হল অ্যালবার্ট পিন্টো-র রাগ হলে তাঁকে ঠান্ডা করবে কে?

Advertisement

• সত্যি কথা বলুন তো, রাজেশ খন্না প্রসঙ্গ কি এড়ানো যেত না?

Advertisement

বিতর্ক আমার পিছু ছাড়ে না। যা বলি তা নিয়েই বিতর্ক হয়। আমি আসলে ভারতীয় সিনেমার একটা অধ্যায়ের কথা বলেছিলাম যে-সময়টা দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল এবং মিস্টার খন্না ছিলেন সেই সময়ের প্রধান মুখ। এবং সে ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব ছিল ওই ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে যাওয়ার। খারাপ বা ভাল যাই হোক তার দায় নেওয়ার। সেটা যে তিনি নিতে পারেননি, আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই যে, মিডিয়া! মুখরোচক অংশটুকু নিয়ে নাসির বনাম রাজেশ যুদ্ধ লাগিয়ে দিল।

• সে কী! তা হলে আপনার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে? নাকি আপনি সত্যিই ক্ষমাপ্রার্থী?

না, না। মিডিয়া মন্তব্য বিকৃত করেনি। মিস্টার খন্না সে সময়ের সুপারস্টার ছিলেন ঠিকই, কিন্তু আমি এখনও মনে করি উনি সাধারণ মানের একজন অভিনেতা। তবে ফিরে তাকালে মনে হয়, আমার হয়তো অতটা ঠো়ঁটকাটা হওয়া উচিত হয়নি। কারণ আমার ঘনিষ্ঠ অনেকেই এই মন্তব্যে আঘাত পেয়েছে শুনলাম। আমি সে জন্য ওঁর পরিবারের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমি আনন্দplus-কে একটা কথা বলতে চাই। বিতর্ক হলেও আমি আমার বক্তব্য থেকে সরছি না। রাজেশ খন্না সত্যিই সাধারণ মানের অভিনেতা ছিলেন। আমি চিরকাল স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করি, এ বারও তাই বলেছি।

• কিন্তু ডিম্পল তো বলছেন, তাঁর স্বামী যে কতটা জনপ্রিয় তার প্রমাণ লক্ষ লক্ষ ফ্যান...

বন্ধু হিসেবে ডিম্পলের ভাবনাকে আমি সম্মান করি। আমি বোধহয় আজও অজ্ঞ, তাই ওই লক্ষ লক্ষ ফ্যানের মধ্যে পড়িনি।

• তা হলে একটা কথা বলুন, সে সময়ের বলিউড সম্পর্কে আপনার ধারণাটা ঠিক কী?

হিন্দি ছবি যখন সাদা-কালো থেকে রঙিন হতে শুরু করল তখন থেকেই বোধহয় ক্রিয়েটিভিটি বা অরিজিনালিটির শেষের শুরু।

• রাজেশ জমানার বলিউড মধ্যমানের হলে আজ তার কী অবস্থা?

ইন্ডাস্ট্রি এখন সাবালক। তার প্রধান কারণ কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ আর বাড়তে থাকা ফ্যান ফলোয়িং।

• আজকের বলিউড কি পুরনো দিনের বোঝা মুক্ত?

পুরোপুরি নয়। আমরা এখনও লোক-সংস্কৃতির যাত্রাপালা থেকে বেরোতে পারিনি। সুতরাং কিছুটা ব্যাগেজ রয়েই গেছে।

• একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। আপনার শর্ট ফিল্ম ‘ইন্টেরিয়র ক্যাফে নাইট’ তো ইতিমধ্যেই অনলাইনে সুপারহিট। একজন মেনস্ট্রিম অভিনেতার পক্ষে এ ধরনের ছবি করা কতটা কঠিন?

দেখুন, পুরোটাই নির্ভর করে চিত্রনাট্যের ওপর।

• কিন্তু দিনকয়েক আগে আপনিই তো বলেছিলেন বলিউড সুপারস্টারদের শর্ট ফিল্ম করা উচিত নয়। তা হলে এটা কি উলটপুরাণ?

না, ঠিক বলেছিলাম। বলিউডে সুপারস্টাররা আসলে শর্ট ফিল্ম করিয়েদের চাপে ফেলে দেন। তাঁরা যখন অভিনয় করতে আসেন, অজান্তেই একটা নার্সিসিস্ট মোডে চলে যান। অদ্ভুত একটা পরিবেশ তৈরি করেন, যে কারণে তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় করার ক্ষমতাটাই হারিয়ে যায়।

• এই যে এত খোলাখুলি কথা বলেন, কখনও কি মনে হয় না একটু সতর্ক হই?

লোকজন সব সময় আমাদের মুখে চমকানো ‘কোট’ শুনতে চায়। আর আমাদের দুরমুশ করে একটা পৈশাচিক আনন্দ পায়।

• তার মানে ফেসবুক, ট্যুইটারের বিতর্ক আপনাকে আঘাত করে না বলছেন!

আমি তো সোশ্যাল মিডিয়াতেই নেই। আমার কোনও ধারণাও নেই ওগুলো কী। আর যেটা আমি জানিই না, সেটা আমায় আঘাত করবে কেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement