অঙ্গদ বেদী।
প্র: ছবি রিলিজ়ের পরের সপ্তাহটা কেমন কাটছে?
উ: ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’ এখনও পর্যন্ত ভালই রিভিউ পেয়েছে। যত বেশি ব্যবসা, ছবিটার পক্ষে তত ভাল।
প্র: প্রস্তুতির সময়ে কি বিরাট কোহালি-রোহিত শর্মার রেষারেষির বিষয়টা মাথায় রেখেছিলেন?
উ: দেখুন, যে কোনও টিম গেমেই মতপার্থক্য হয়। ক্রিকেটও তার বাইরে নয়। তবে রোহিত শর্মা কিংবা বিরাট কোহালির মধ্যে রেষারেষি আছে কি না, সে ব্যাপারে মন্তব্য করার আমি কেউ নই।
প্র: ‘ইনসাইড এজ’, ‘সুরমা’, ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’... পরপর স্পোর্টসম্যানের চরিত্র করছেন।
উ: প্রত্যেকটা চরিত্রই কিন্তু স্বতন্ত্র। স্টোরিলাইনে স্পোর্টস আছে মানেই আমি খেলোয়াড়ের চরিত্রে, এমন তো নয়। এখন স্পোর্টস ফিল্ম তৈরিও হয় বেশি। আর আমার এ রকম একটা ইমেজ তৈরি হয়ে গিয়েছে হয়তো (হাসি)!
প্র: টাইপকাস্ট হওয়ার চিন্তা নেই?
উ: আমি তো আর একটানা পজ়িটিভ, নেগেটিভ বা কমেডি রোল করছি না। তাই টাইপকাস্ট হওয়ার ভয় নেই। এখন তো পুরোটাই পারফরম্যান্স-বেসড।
প্র: দুলকির সলমনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে?
উ: দুলকির ইজ় আ ফ্রেন্ড ফর লাইফ। আর অভিনেতা হিসেবেও ও খুবই সিকিয়োরড। ওর সঙ্গে আরও অনেক কাজ করতে চাই।
প্র: সব প্রচার তো সোনম কপূরকে ঘিরেই ছিল...
উ: সোনমের মতো স্টার ছবিতে থাকলে সেটাই তো হবে। তবে নিজের পারফরম্যান্সে যেন দর্শকের চোখে পড়ি, সেই চেষ্টা আমার সব সময়ে থাকে। ‘পিঙ্ক’, ‘ইনসাইড এজ’ কিংবা ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’তেও আমি সুযোগ পেয়েছিলাম কাজ দেখানোর। কে লিড রোল করছে, কে সাইড রোল— সেটা এখন আর ম্যাটার করে না। ভাল ছবিতে সুযোগ পাওয়াই ভাগ্যের ব্যাপার। ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’-এও তেমনই সুযোগ পেয়েছি।
প্র: শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কী রকম?
উ: মূলত লখনউ আর জর্জিয়ায় শুট করেছি। ধর্মা প্রোডাকশন তার কলাকুশলীকে সব সময়ে আরামেই রাখে (হাসি)। এই ছবিতে কোনও হিরো নেই। গুঞ্জনের (জাহ্নবী কপূর) ‘হিরোইজ়ম’টাই এখানে শেষ কথা। মার্চে ছবির রিলিজ়।
প্র: ওয়েবে কী কাজ করছেন এই মুহূর্তে?
উ: ‘ইনসাইড এজ সিজ়ন টু’ আসছে। নানাবতী কেস নিয়ে কোর্টরুম ড্রামা ‘দ্য ভার্ডিক্ট’ও মুক্তি পাবে।
প্র: মেয়ে কেমন আছে? ওকে সময় দিতে পারেন?
উ: দশ মাস হয়েছে সবে। আমি বা নেহা পালা করে ওর কাছে থাকি। আর দু’জনের একসঙ্গে কাজ পড়ে গেলে, নেহা অনেক সময়ে ওকেও সঙ্গে নিয়ে যায়।
প্র: আপনাদের বেড়াতে যাওয়ার ছবি ইনস্টাগ্রামে তো বেজায় হিট!
উ: থ্যাঙ্ক ইউ। বড্ড বেশি বেড়ানো হচ্ছিল বলে এ বার কাজে মন দিয়েছি (হাসি)। তবে শীতে আবার প্ল্যান রয়েছে!