Entertainment News

‘মায়ের সঙ্গে তো তুলনা হবেই, ওটা নিয়ে ভাবি না’

মুক্তি আগামী ২ জুন। তার আগেই নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন কঙ্কনা সেনশর্মা। আরও বেশ কয়েকটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সম্মানিত হয়েছে পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি। প্রচারে কলকাতায় এসে মুখোমুখি কঙ্কনা।মুক্তি আগামী ২ জুন। তার আগেই নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন কঙ্কনা সেনশর্মা। আরও বেশ কয়েকটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সম্মানিত হয়েছে পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি। প্রচারে কলকাতায় এসে মুখোমুখি কঙ্কনা।

Advertisement

স্বরলিপি ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ১৫:০৪
Share:

ছবির প্রচারে কলকাতায় কঙ্কনা।— নিজস্ব চিত্র।

প্রশ্ন: প্রথম ছবি রিলিজের আগে কি রেজাল্ট বেরোনোর টেনশন হচ্ছে?

Advertisement

কঙ্কনা: রেজাল্ট? আজ বাচ্চাদের রেজাল্ট বেরোচ্ছে না? (হাসি)… আসলে এটা তো রেজাল্ট বেরনোরই মরশুম। কিন্তু পাবলিসিটি নিয়ে এতটাই দৌড়চ্ছি, এখনও টেনশনটা ভাবার সময়ই পাইনি। আর ভাবছিও না।

প্রশ্ন: ছবির ভাবনাটা কী ভাবে এসেছিল?

Advertisement

কঙ্কনা: আমি ছোটবেলায় ম্যাকল্যাস্কিগঞ্জে গিয়েছি। মা-বাবার একটা বাড়ি ছিল ওখানে। ঠাকুরদা, ঠাকুমা থাকতেন। কিন্তু আমি তখন অনেকটাই ছোট ছিলাম। পরে বাবা-মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছি। ওই সব সময়ের গল্প। তারা কী করত, কী ভাবে বিহেভ করত। প্রত্যেক পরিবারের কিছু ইন্টারেস্টিং চরিত্র থাকে। কেউ বেশি কথা বলে। কারও কথা সবাই শোনে— তো সেগুলো শুনেছি। সেখান থেকেই অর্গ্যানিক্যালি স্টোরিটা ডেভলপ করেছে। তখনকার দিনের গল্পগুলো কালেক্ট করে কিছুটা আমি ফিকশনালাইজ করেছি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছুটা অ্যাড করেছি।

প্রশ্ন: ওখানকার মানুষদের দিয়েও তো ছবিতে অভিনয় করিয়েছেন?

কঙ্কনা: শুধু অভিনয় নয়। ওদের থেকে ইনপুটও নিয়েছি। আসলে মা নিজের স্মৃতি থেকে এক রকম বলেছে, দিদি আর এক রকম। আমার এক রকম মনে আছে। ফলে ওই সময়টা ঠিক কেমন ছিল, তার ব্রিফটা ওখানকার মানুষদের থেকেও আমাকে নিতে হয়েছে। ওঁরা দারুণ ব্রিফ করেছেন।

প্রশ্ন: ট্রেলারে একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। সেটা কি আপনার ছোটবেলা?

কঙ্কনা: না! তবে কিছুটা আমার দিদির বলতে পারেন। কিন্তু মেয়েটির সঙ্গে অনেক কিছু হবে যেটা আমার দিদির জীবনে হয়নি।

প্রশ্ন: ছবিটা যে এত ফেস্টিভ্যালে ঘুরেছে তাতে কি আলাদা কোনও সুবিধে হয়?

কঙ্কনা: অবশ্যই। বেশ কয়েকটা ফেস্টিভ্যালে গিয়েছে ছবিটা। অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এটা থেকে দর্শকদের আগ্রহ তৈরি হয়। সেটা তো কিছুটা সাহায্য করেই।

আরও পড়ুন, চৌরঙ্গি লেনে হাতেখড়ি মায়ের, ম্যাকলাস্কিগঞ্জে যাত্রা শুরু কঙ্কনার

প্রশ্ন: অভিনয়, নাকি পরিচালনা কোনটা বেশি কঠিন?

কঙ্কনা: (সামান্য পজ) ইট ডিপেন্ডস। (মুচকি হেসে) আই থিঙ্ক ডিরেকশন।

প্রশ্ন: কোনটা বেশি এনজয় করেন?

কঙ্কনা: এটাই আসল কথা। আসলে কোনটা আমি এনজয় করছি তার ওপর নির্ভর করে কোনটা বেশি কঠিন। ডিরেকশনে অনেকগুলো আলাদা আলাদা দিকে নজর দিতে হয়। এটা অনেকটা মা হওয়ার মতো। একটা বাক্যে আমি বলতেই পারব না। কখনও বাচ্চার শরীর খারাপ, ভীষণ টেনশন, কখনও হাঁটতে শিখে গেল, অনেক রকমের মিক্সড ফিলিংস। অনেক ভাবনা। তবে এন্ড অফ দ্য ডে কাজটা দারুণ।

আরও পড়ুন, আবারও ‘বোল্ড’ স্বস্তিকা, এ বার অন্যভাবে

প্রশ্ন: মা (অপর্ণা সেন) পরিচালক হিসেবে কোনও টিপস দিয়েছিলেন?

কঙ্কনা: ঠিক টিপস বলব না। তবে প্রচুর কথা হয়েছে মায়ের সঙ্গে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে আলোচনা করতাম। মা কিন্তু একদিনও শুটিংয়ে যায়নি।

প্রশ্ন: মায়ের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে তুলনা তো হবেই। সেটা কী ভাবে ম্যানেজ করবেন?

কঙ্কনা: সেটা তো চিরকালই হচ্ছে। আমি যখন অভিনয় করতে এলাম তখনও মায়ের সঙ্গে তুলনা হয়েছে। ওটা তো বাইরের লোকেরা করে। করুক। ওটা নিয়ে ভাবি না।

প্রশ্ন: বাংলা ছবিতে আবার কবে অভিনয় করছেন?

কঙ্কনা: জানি না। ভাল রোল পেলে তো করবই। এখনও ভাল কিছু পাই নি।

ছবির প্রচারে কঙ্কনার সঙ্গে অপর্ণা সেন।— নিজস্ব চিত্র।

প্রশ্ন: বাংলা ছবি পরিচালনা করবেন না?

কঙ্কনা: ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ ছবিটা তো এক দিক থেকে বাঙালিই আমার মনে হয়। আসলে কোন ভাষায় বানানো হবে সেটা নির্ভর করে চরিত্ররা কেমন তার ওপর। বাঙালিরাও কানেক্ট করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement