মা-বাবার দাম্পত্যের হাল ভাবিয়েছিল সারাকেও।
বাবা-মা যে ভাল নেই, অনেক ছোট বয়সেই বুঝেছিলেন সারা আলি খান। নিত্য অশান্তির দাম্পত্য পেরিয়ে তার পরেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহ। সে সিদ্ধান্ত যে একেবারে ঠিক ছিল, খানিক বড় হয়ে বুঝেছিলেন সারা। নিজেই বলেছিলেন, বিচ্ছেদের পরে এখন অনেক ভাল আছেন অমৃতা। সুখে আছেন সইফও।
১৯৮১ সালে বিয়ে হয় সইফ-অমৃতার। বলিউডের এই জুটির বয়সের ফারাক তাঁদের প্রেমের শুরু থেকেই ছিল চর্চায়। ১২ বছরের ছোট সইফের সঙ্গে সংসার পাতার কয়েক বছরের মধ্যেই অশান্তি শুরু দু’জনের। দুই সন্তান, ইব্রাহিম এবং সারার জন্মও তাঁদের সম্পর্কের ভাঙন ঠেকাতে পারেনি।
মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অশান্তির এবং তার পরে সইফ-অমৃতার বিচ্ছেদের দিনগুলো ফিরে দেখেছিলেন সারা। ‘লভ আজ কাল’-এর নায়িকা তখন বছর নয়ের বালিকা। সারা জানান, একসঙ্গে থেকে মা-বাবার তুমুল ঝামেলা এবং আলাদা বাড়িতে থেকে শান্তিতে বাস— দুয়েরই সাক্ষী ছিলেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমার মা দশটা বছর হাসতে ভুলে গিয়েছিল। বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে প্রথম মাকে প্রাণখুলে হাসতে দেখেছি, আমাদের সঙ্গে মজায় মাততে দেখেছি। মা-বাবা একসঙ্গে থাকার দিনগুলোয় সে সব কখনও হত না।’’
একাই দুই ছেলে-মেয়ে ইব্রাহিম এবং সারাকে বড় করেছেন অমৃতা। তবে সইফের সঙ্গে তাদের মেলামেশায় বাধা ছিল না কখনওই। বড় হয়ে ইব্রাহিম যেন অবিকল কম বয়সের সইফ। আর সারা হুবহু তরুণী অমৃতার মতোই দেখতে। এতটাই মিল যে, দু’জনের ছবি ধাঁধায় ফেলেছিল অনুরাগীদেরও!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।