পর্দায় অমরীশকে দেখেই হাত-পা কাঁপার জোগাড় দর্শকের!
পর্দায় তিনি থাকা মানেই একরাশ ভয়। লাল চোখে হুঙ্কার ছাড়লে সব চুপ! পর্দার জনপ্রিয় ভিলেনের হিংস্রতা বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর চেহারার ক্রূরতা। এ হেন অমরীশ পুরীকে নাকি প্রথম দেখাতেই বাতিল করে দিয়েছিল বলিউড! প্রয়াত অভিনেতার ৯০তম জন্মদিনে এমন তথ্য ফাঁস করলেন তাঁর নাতি বর্ধন পুরী।
ভয়াল ডনের ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’ কিংবা ছবির শেষ মুহূর্তে নায়কের হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া রাগী বাবার ‘যা সিমরন, জি লে আপনি জিন্দেগি’। অমর হয়ে যাওয়া সংলাপে দর্শকের কানে বরাবরের মতো গেঁথে গিয়েছে জলদগম্ভীর স্বর। আর অমরীশের চেহারা? ভীষণ রেগে সামনে এসে দাঁড়ালে ভয়ে বুক কাঁপবে যে কারওরই! বলিউডের লম্বা কেরিয়ারে তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে ছিল তারই যুগলবন্দি। পরবর্তীতে যা তাঁর সম্পদ হয়ে উঠেছিল, সেই চেহারা আর কণ্ঠকে এক দিন বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল এই বলিউডই।
বর্ধন জানান, হিন্দি ছবির নায়ক হওয়ার আশায় জীবনের প্রথম স্ক্রিন টেস্ট দিতে গিয়েছিলেন তাঁর ঠাকুর্দা। ২১ বছরের অমরীশকে এক দেখাতেই বাতিল করে দেওয়া হয় রুক্ষ চেহারা আর ভয়াল কণ্ঠস্বরের কারণ দেখিয়েই। এক বার নয়, একাধিক বারই এমন প্রত্যাখ্যান মানসিক ভাবে ভেঙেচুরে দিয়েছিল তাঁকে। এক নামী পরিচালক নাকি এ-ও বলেছিলেন, ‘‘তোমায় এমন ভিলেনের মতো দেখতে! কোনও দিনই তুমি নায়ক হতে পারবে না।’’
বর্ধনের কথায়, হতাশায় ডুবতে ডুবতেই এক দিন ঘুরে দাঁড়াতে শেখেন অমরীশ। ঠিক করেন, যে বিষয়গুলোকে তাঁর দুর্বলতা বলে দেগে দিচ্ছে বলিউড, সেগুলোই তিনি নিজের শক্তি বানিয়ে ছাড়বেন! নায়ক হতে চাওয়া অমরীশ নাম লেখালেন খলনায়ক হওয়ার দৌড়ে। আর ফেরানোর সাধ্য হয়নি কারও।
বাকিটা ইতিহাস। অমরীশ ওরফে ‘মোগাম্বো’কে এক দিন টুপি খুলে কুর্নিশ জানিয়েছিল সেই বলিউডই!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।