অমিশা পটেল। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরে বলিউডের বক্স অফিসে অন্যতম সফল ছবি ‘গদর ২’। গত ১১ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবি। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির এক মাস পূর্ণ করার আগেই ৫০০ কোটির ঘরে পা রেখেছে সানি দেওল ও অমিশা পটেল অভিনীত এই ছবি। বক্স অফিসে ছবির সাফল্যের ফলে বলিউডে নিজেদের জমি খুঁজে পেয়েছেন সানি ও অমিশা, দু’জনেই। আর্থিক দিক থেকেও বেশ লাভবান হয়েছেন দুই অভিনেতা। ‘গদর ২’ মুক্তির মাস খানেক আগেই আর্থিক প্রতারণায় নাম জড়িয়েছিল অমিশার। প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় আদালতেও হাজিরা দিতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও আর্থিক প্রতারণার ব্যাপারেই আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের বাবার বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ করেছিলেন অমিশা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অমিশা জানান, আর্থিক প্রতারণার কারণে ২০০৪ সালে নিজের বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অমিশার ম্যানেজার ছিলেন তাঁর বাবা অমিত পটেল। তাঁর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ তোলেন অমিশা। অমিশার অভিযোগ, ম্যানেজার হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাকি প্রায় ১২ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন তাঁর বাবা। মামলার কারণে একাধিক বার আদালতেও যেতে হয়েছিল বাবা ও মেয়েকে। তবে নিজের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে একেবারেই লজ্জিত নন অমিশা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ভয় বা লজ্জা পাব কেন! আমার কষ্টার্জিত টাকার উপর অধিকার তো শুধু আমার। আমার মা-বাবারও অধিকার নেই ওই টাকা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার। আমার দাদু-ঠাকুরমা চিরকাল আমার পাশে থেকেছেন। আমার মা-বাবা তাঁদেরকেও ভুল বুঝিয়েছিলেন।’’
২০০০ সালে রাকেশ রোশনের ‘কহো না... প্যার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ অমিশার। হৃতিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। তার পরের বছরই ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিতে সানির সঙ্গে জুটি বাঁধেন অমিশা। সেই ছবিও সাফল্য পায় বক্স অফিসে। তবে অমিশার সফল ছবির দৌড় সেখানেই শেষ। তার পরে একাধিক ছবিতে কাজ করলেও বক্স অফিসে তেমন ভাবে দাগ কাটতে পারেনি কোনও ছবিই। বহু বছর পরে ‘গদর ২’ ছবির মাধ্যমে শেষমেশ সাফল্যে ফিরেছেন নায়িকা।