Entertainment News

‘টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি না’

পুরুলিয়ার মেঠো প্রান্তরে থিয়েটারের গান নিয়ে কথা বলতে গেছেন তিনি। ফিরে এসেই বিরসা দাশগুপ্ত-র ‘ক্রিশক্রশ’ ছবির শ্যুট। অম্বরীশ ভট্টাচার্য। সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়— সামনে এক গুচ্ছ ছবি নিয়ে কথা বললেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পুরুলিয়ার মেঠো প্রান্তরে থিয়েটারের গান নিয়ে কথা বলতে গেছেন তিনি। ফিরে এসেই বিরসা দাশগুপ্ত-র ‘ক্রিশক্রশ’ ছবির শ্যুট। অম্বরীশ ভট্টাচার্য। সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়— সামনে এক গুচ্ছ ছবি নিয়ে কথা বললেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮ ১৮:৫১
Share:

অম্বরীশ ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

হঠাৎ পুরুলিয়া?

Advertisement

এই মেঠো পথ, নাটকের কথা, নাটকের গানের টানে আমি এখানে। মাঝে মাঝে ইন্ডাস্ট্রির বাইরে চলে আসতে ইচ্ছে করে।

মানে ধারাবাহিক ছেড়ে নাটকে?

Advertisement

প্রায় দশ বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘রাজা গজা’ জনপ্রিয় হওয়ার পর সেই যে মেগা করতে আরম্ভ করলাম, করেই গেলাম!

ইন্ডাস্ট্রির যা হাল তাতে সিনেমা থেকে মেগাতে তো অনেকে ফিরছেন। মুম্বইয়ে অমিতাভ থেকে সলমন অবধি টেলিভিশনের পর্দায়। আর আপনি ছেড়ে দিলেন?

আমি নিজেকে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি না। হ্যাঁ, টেলিভিশন আমায় অর্থ দিয়েছে। লোকে ‘মহানায়ক’ দেখার পরে ধারাবাহিক থেকেই আমায় চিনেছে। আমায় ধারাবাহিক পরিচিতি দিয়েছে, কিন্তু দশ বছর তো হল! আর চাইনি।

কেন? টাইপকাস্ট হওয়ার ভয়?

সে তো আছেই। পাঁচ বছর টানা ‘রাজা গজা’য় কমেডি করে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আর কমেডি চাইনি। আর লোকে কমেডি চরিত্রই দিত।

কী বলছেন! অম্বরীশ ভট্টাচার্য মানেই তো কমেডি, মোটাসোটা লোক যে খেতে ভালবাসে, মজা করে!

এই ছকে ফেলে দেওয়া ইন্ডাস্ট্রির চিরকালের অভ্যেস! নয়তো ভাবুন না, রবি ঘোষের মতো অভিনেতার কথা, যদি সত্যজিৎ রায় না থাকতেন! ‘জন অরণ্য’-র মতো মেয়ে দালালের চরিত্র, ‘গল্প হলেও সত্যি’-র চরিত্র না হত! বাঘা বায়েন না হত! ওঁকে তো আর কেউ সে ভাবে ব্যবহারই করলেন না! যে কমেডি করে সে শুধু হাসির খোরাক হয়ে থেকে যাবে, এটা ভাল লাগে না। আমার ক্ষেত্রেও আর চাইনি বলে বেঙ্কটেশ-এর মতো প্রোডাকশন হাউজ, লীনাদির মতো প্রোডাকশন হাউজ অফার দেওয়াতেও কাজ করিনি।

সত্যজিৎ রায়, রবি ঘোষ, তাঁর সঙ্গে বড় ব্যানার আর আপনি...শোনা যাচ্ছে কী যেন একটা ঘটতে চলেছে?

হ্যাঁ। খুব বড় কাজ হবে যেখানে নায়ক নয়, চরিত্রাভিনেতা নির্ভর ছবি হবে।

আরও পড়ুন, মে মাসেই বিয়ে সোনম-আনন্দের? এ বারও কি ডেস্টিনেশন ওয়েডিং?

গুপী বাঘা নাকি?

এর বেশি আমি কিছু এখন বলতে পারব না। বুঝে নিন।

বুঝলাম! ‘উমা’ বা ‘ক্রিশক্রশ’-এর চরিত্রগুলো কি সেটা নিশ্চয়ই বলতে পারবেন?

‘উমা’তে আমি অঞ্জন দত্তর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের চরিত্রে অভিনয় করেছি। কুড়ি দিন ও রকম এক জন অভিনেতার সঙ্গে গায়ে গায়ে অভিনয় করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা, জানেন। আর বিরসার ছবিতে আমি এক জন বাঙালি বনেদিবাড়ির ছেলে, যে ইম্পোটেন্ট, সেটা সে স্বীকার তো করেই না উল্টে বউকে দোষ দেয়। খুব ইন্টারেস্টিং চরিত্র। তবে এই শুক্রবার আমার ‘হয়তো মানুষ নয়’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।

হাতে এত ছবি। নচিকেতার ‘নীলাঞ্জনা’ ছবিতেও তো কাজ করছেন। কখনও মনে হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক হলে এত কাজ পাওয়া যেত না! চরিত্রাভিনেতা বলেই কাজ পাচ্ছেন।

আমার যা চেহারা নায়ক হব ভাবিইনি। আসলে অভিনয় জগতে এ ভাবে আসব ভাবিনি। ভাবতাম থিয়েটর করব আর চাকরি। লোকে রাস্তায় এখন চিনতে পারছে এই কম কী? ধারাবাহিক থেকে সিনেমায় এলাম। যে দিন ঠিক করি ধারাবাহিক ছেড়ে দেব তার পরের দিন কমলেশ্বরদা আমায় ফোন করে ‘ককপিট’-এর কাজ দেয়। কাজ আসতেই থাকে। আমাকে সত্যি স্ট্রাগল করতে হয়নি। নায়ক হলে হয়তো এত কাজ পেতাম না। আর নায়কদের কত দায়িত্ব!

আরও পড়ুন, রানির বিয়েতে কত জন নিমন্ত্রিত ছিল জানেন!

মানে?

একটা ছবি হিট বা ফ্লপ দাঁড়িয়ে আছে নায়কের ওপর। দশ দিনের শ্যুটে তাকে চল্লিশ দিনের প্রমোশনে যেতে হবে। আমার এ সব চাপ নেই। ফ্রিলান্সারের মতো যাই। কাজ করি। টাকা পাই। আর আমি অ্যাম্বিশাস নই! মায়ের সঙ্গে থাকি। পাড়ায় আড্ডা মারি। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনও বন্ধু নেই।

বিয়ে করবেন না?

নাহ। আমি ঠিক ম্যারেজ মেটিরিয়াল নই। দায়িত্ব নেওয়া...একা থাকতে বেশ লাগে। দেখি, আর কিছু দিন যাক।

মুম্বই যাবেন না?

প্রদীপ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যাই। আর কাউকে চিনি না। উনিও চিনতেন না। একটা খাবারের বিজ্ঞাপন দেখে আমায় খুঁজে বার করেছিলেন। দারুণ মানুষ। খুব ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছে। খুব বেশি লড়াই, ছোটাছুটি, অনেক কাজের চেয়ে এই মেঠো মাঠ, মঞ্চ, পলাশবন, পাড়া আমায় স্থির করে রাখে। আমি খুশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement