চেতন ভগত এবং অনভিতা বাজপেয়ী
বলিউডে গল্পের টান পড়লেই চিত্রনাট্যকারদের অনেকেই নাকি তাঁর গল্পে হাত দেন। তাঁর লেখা একটি বই নিয়ে তৈরি ছবি ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ মুক্তির অপেক্ষায়। সম্প্রতি তাঁর অন্য এক বই ‘ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমেও। এই খবরে সোশ্যাল মিডিয়া যখন মজে, ঠিক তখনই বিতর্ক শুরু সেই লেখককে নিয়ে। তিনি চেতন ভগত। অভিযোগ, গত বছর তাঁর সর্বাধিক বিক্রিত বই ‘ওয়ান ইন্ডিয়ান গার্ল’-এর গল্প নাকি চুরি করে লেখা। বেঙ্গালুরুর এক লেখিকা অনবিতা বাজপেয়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন- আয়ুষ্মানকে সঙ্গে নিয়ে ভূমির রিটার্ন
ওই লেখিকার অভিযোগ, তাঁর লেখা বই ‘লাইফ, অ়ডস্ অ্যান্ড এন্ডস’-এর একটি গল্প ‘ড্রয়িং প্যারালালস’ থেকে চেতন ‘ওয়ান ইন্ডিয়ান গার্ল’ চুরি করেছেন। লেখিকা কোর্টে চেতনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও রুজু করেছেন। অনবিতার দাবি, চেতনের গল্পে একটা ইমোশন্যাল ফ্লো রয়েছে, যা তাঁর গল্পের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। তিনি বলেন, ‘‘চেতন ভগতের ওই বইটি সম্পর্কে আমি ফেসবুকে জানতে পারি। চটজলদি বইটি কিনেও ফেলি। পড়তে পড়তে অবাক হয়ে যাই! ওই বইয়ের বিষয়বস্তু আমার বইয়ের সঙ্গে কী রকম একটা মিলে যাচ্ছে। পরে মনে প়ড়ে যে, আমার বইয়ের একটি কপি চেতনকে ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরু লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে দিয়েছিলাম।’’
অনভিতা বাজপেয়ীর ফেসবুক পোস্ট।
২০১৬-র ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি চেতনকে ওই বইয়ের সার্কুলেশন বন্ধ করতে একটি আইনি নোটিসও পাঠিয়েছিলেন। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকার দাবি জানান তিনি। কিন্তু, চেতন তা মানতে চাননি বলে অভিযোগ। শেষমেশ বেঙ্গালুরুর একটি আদালতে যান ওই লেখিকা।
চেতন ভগতের ফেসবুক পোস্ট।
বেঙ্গালুরু আদালত বর্তমানে ওই বই বিক্রির উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছে। পরবর্তী শুনানি অবধি এই বইয়ের প্রকাশক রূপা পাবলিকেশন ‘ওয়ান ইন্ডিয়ান গার্ল’ এর কোনও কপি বিক্রি করতে পারবে না।
চেতন ভগতের এই বইটি মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের ১ অক্টোবর। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত। তবে চেতন ভগত অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, এই লেখিকাকে তিনি চেনেন না এবং তাঁর কোনও বই কখনও পড়েননি।