সঞ্জয় লীলা ভন্সালী ও আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
পরিচালকের হাত থেকে এক শিশুশিল্পীকে রক্ষা করেছিলেন আলিয়া ভট্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সত্য সামনে আনলেন অভিনেত্রী সীমা পাহওয়া। ঘটনাটি ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ ছবির সময়ের। এই ঘটনার পরে আলিয়াকে নিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ধারণা বদলে গিয়েছিল।
ছবির পরিচালক ছিলেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। শুটিং চলাকালীন নাকি তিনি খুব রেগে গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে সীমা পাহওয়া বলেন, “আলিয়ার ব্যাপারে আমার ধারণা ছিল— তারকা পরিবার থেকে আসা আধুনিক প্রজন্মের মেয়ে মাত্র। মানুষ হিসেবে কেমন, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না যদিও। কিন্তু আমি অবাক হয়ে যাই। আমার প্রতিও ও খুব শ্রদ্ধাশীল ছিল। সঞ্জয় অবশ্য ওঁকে বলেছিলেন আমি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। কিন্তু একটা ঘটনা দেখে আলিয়ার প্রতি আমার ধারণা বদলে যায়।”
সীমা বলেন, “ছবিতে একটি বাচ্চা মেয়ের দৃশ্যের শুটিং ছিল। দৃশ্য অনুযায়ী, শিশুটি ঘুমোনোর ভান করছে এবং অবশেষে একটি সংলাপ বলছে। তখন রাত তিনটে বাজে। সত্যিই ওই বাচ্চাটির ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। তাই ঘুমোনোর ভানের দৃশ্যে অভিনয় করার সময়ে শিশুটি সত্যিই ঘুমিয়ে পড়ছিল। তাই সংলাপ বলতে পারছিল না। এই দেখে চটে যান সঞ্জয়। তিনি চিৎকার করতে থাকেন, ‘ও কেন বার বার ঘুমিয়ে পড়ছে?’ তখন শিশুটিকে এসে বাঁচায় আলিয়া। আলিয়া বলে, ‘আমি যখন তোমার হাত ধরে টানব, তখন সংলাপটি বলবে।’ ও পুরোটা সামাল দিয়েছিল। আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম সে দিন।”
উল্লেখ্য, ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’-তে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন আলিয়া। এই ছবি বক্স অফিসে ২১১.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।