কোনও এক বছরের জন্মদিনে হয়তো এ ভাবেই অমিতাভ বচ্চনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল আরাধ্যা। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁদের সম্পর্কে নাকি বইছে শীতল স্রোত! বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা চলছে গত কয়েক মাস ধরে। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও একত্রে প্রবেশ করছেন না তাঁরা। তবে কি পরিবারেই ভাঙন ধরে গিয়েছে? এ সব প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অভিষেক বচ্চন বা ঐশ্বর্যা রাই। তবে, মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে ঐশ্বর্যা যে আর বচ্চন-বাড়িতে থাকছেন না তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। অমিতাভ বচ্চন বা জয়া বচ্চনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যদিও শ্বশুরমশাইয়ের জন্মদিনে সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। তবে এ বার শুধু নাতনির সঙ্গে পুরনো ছবি দিয়েই শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন ঐশ্বর্যা। ইনস্টাগ্রামে ১১ অক্টোবর তিনি লেখেন, “শুভ জন্মদিন পা-দাদাজি, ঈশ্বর সর্বদা মঙ্গল করুন।” সঙ্গে ফুলের তোড়া, কেক, লাল হৃদয় আর ইভিল আই-এর ইমোজি ব্যবহার করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ৮২ বছরে পা দিলেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। সেই উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান ঐশ্বর্যা। যদিও বয়ান থেকে স্পষ্ট এই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পৌত্রী আরাধ্যাই। সঙ্গের ছবিতেও ছোটবেলার আরাধ্যাকে দেখা যাচ্ছে ঠাকুরদাকে জড়িয়ে ধরে গোলাপ উপহার দিতে।
ইদানীং ঐশ্বর্যাকে আর সমাজমাধ্যমে প্রায় দেখাই যায় না। অক্টোবর মাসের আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে শেষ পোস্ট করেছিলেন ২৮ মে। সেটি ছিল একটি চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচার প্রস্তুতির ছবি। তার আগে ২৪ মে, নিজের মায়ের জন্মদিনে আরাধ্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ছবি ভাগ করেছিলেন। তাই অনুরাগী ভক্তেরা মন্তব্যবাক্সে লিখেছেন, “আমরা আপনাকেও দেখতে চাই। নিজের ছবিও আপলোড করুন দয়া করে।” আবার কেউ লিখেছেন, “দয়া করে নিয়মিত সমাজমাধ্যমে আসুন, আমরা আপনাকে চাই।”
এই পোস্টে উঠে এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নও। এক অনুরাগী লিখেছেন, “তবে যে কেউ কেউ বলছিল আপনাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তারা এখন চুপ কেন!” আবার এক অনুরাগী উল্টো সুরে লিখেছেন, “আমি বুঝতেই পারি না আপনি এত দুর্বল কেন? কেন অভিষেককে আনফলো করে নিজের মতো এগিয়ে যেতে পারছেন না?”