Aindrila Sharma

Sabyasachi-Aindrila: চিকিৎসা শেষ, লড়াই জিতলেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা! কেক পাঠিয়ে শুভেচ্ছা রাজ-শুভশ্রীর

উদযাপনের মেজাজে গোটা পরিবার। তিনটি কেক ঐন্দ্রিলার সামনে। সত্যিই যেন নবজন্ম হল তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:২৬
Share:

ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী; রাজ-শুভশ্রী

লড়াইটা শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অগুন্তি অনুরাগীর শুভেচ্ছা। মা-বাবা, দিদির স্নেহ, প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর ভালবাসা। আর নিজের মনের জোর ক্যানসারের কাছে হারতে দেয়নি তাঁকে। বুধবার, অভিনেত্রীর শেষ কেমোথেরাপির দিন ছিল। সে কথা জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে পোস্ট দেন সব্যসাচী। শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দবাজার অনলাইন বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করেছিল ছোট পর্দার ‘বামদেব’-এর সঙ্গে। সব্যসাচী জানিয়েছেন, ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা।

Advertisement

বুধবার রাত থেকেই উদযাপনের মেজাজে গোটা পরিবার। তিনটি কেক ঐন্দ্রিলার সামনে। সত্যিই যেন নবজন্ম হল তাঁর। প্রাণ খুলে হাসতে হাসতে এক জীবনমুখী যোদ্ধা ছুরি চালিয়েছেন তুলতুলে নরম কেকের বুকে! পরিবারের সবাই, সব্যসাচী তাঁর দুই পাশে।

একটি কেক বিশেষ। চকোলেট দিয়ে মোড়া কেকের উপরে নানা মোজা অজস্র গোলাপ। যুদ্ধ জেতার অভিনন্দন জানিয়ে এই কেক ঐন্দ্রিলাকে পাঠিয়েছেন রাজ চক্রবর্তী-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কেক কাটার ঝলক অভিনেত্রী পরে ভাগ করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানেই তিনি ‘রাজশ্রী’-কে ভালবাসা জানিয়েছেন। ঐন্দ্রিলার মা-বাবা আশীর্বাদ, শুভকামনা জানিয়েছেন তারকা দম্পতির এক মাত্র সন্তান ইউভানকে।

Advertisement

উদযাপনের পাশাপাশি আগামী দিনের জন্য চাই ঈশ্বরের আশীর্বাদও। সব্যসাচী বলেছেন, ‘‘আজ আচমকাই ছুটি পেয়েছি। আমরা সপরিবারে তাই বেলুড় মঠে যাব। ঐন্দ্রিলার আরও একটু দূরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সদ্য কেমো নিয়েছে। তাই ওকে নিয়ে বেশি টানাহ্যাচঁড়া করব না।’’

ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ দীর্ঘ দিন ধরে বামদেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন সব্যসাচী। তাঁর ছোঁয়াতেই কি মারণরোগকে হারালেন ঐন্দ্রিলা? অভিনেতার জবাব, ‘‘আমি কিচ্ছু করিনি। যাবতীয় সব করেছেন আর এন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আমি ফেসবুকে প্রত্যেকের নাম দিয়েছি। ঐন্দ্রিলার পাশে থাকা আমার কর্তব্য ছিল। সেটাই পালন করেছি মাত্র।’’ একেবারে প্রথমে কিছু দিন অভিনেত্রীর চিকিৎসা হয়েছিল দিল্লির প্রথম সারির হাসপাতালে।

সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা এই প্রজন্মের কাছে উদাহরণ। তাঁদের ভালবাসা, একসঙ্গে পথ চলা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁদের জীবন, বিশেষত ঐন্দ্রিলার দ্বিতীয় বার মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখে জীবনে ফেরার গল্প নিয়ে ছবি হয়? ‘‘খুব ভাল হয়’’, দাবি রাজের। তাঁর কথায়, সত্যিই ওঁদের জীবন ছবির মতোই। ওঁদের মতো পারস্পরিক ভালবাসা আজকের দিনে চট করে দেখা যায় না। বাস্তবের জুটিকে নিয়ে বড় পর্দায় কোনও দিন ছবি বানাবেন? পরিচালকের মতে, নতুন বছরে ফের অতিমারির তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে। তাই এক্ষুণি এ নিয়ে কোনও কিছু বলা উচিত নয়। তবে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রতি আজীবন সমর্থন, ভালবাসা, শ্রদ্ধা থাকবে তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement