সিদ্ধার্থের মতে, ইতিহাস গড়তে কে না চায়! কিন্তু ভেবেচিন্তে বা পরিকল্পনা করে কিছু হয় না। ফাইল চিত্র
বক্স অফিসে একের পর এক নজির গড়ছে পাঠান’। পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! এই ছবি দিয়েই ৪ বছর পর পর্দায় ফিরলেন শাহরুখ খান। সেই সঙ্গে মুক্তির দিনেই বাজিমাত। মাত্র দু’দিনে বিশ্ব জুড়ে ২৩১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে ‘পাঠান’। যদিও ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল কোনও ছুটির দিনে নয়, সপ্তাহের মাঝখানে।
সিদ্ধার্থের মতে, ‘‘ইতিহাস গড়তে কে না চায়! কিন্তু ভেবেচিন্তে বা পরিকল্পনা করে কিছু হয় না। স্রেফ হয়ে যায়। আর যখন হয়, সেটি অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। আমি আনন্দে আত্মহারা এই মুহূর্তে। একই সঙ্গে অনুপ্রেরণা পেলাম, দর্শকের মনের মতো আরও কিছু করতে চাই।’’
সেই সঙ্গে সিদ্ধার্থ জানান, এমন সাফল্য মানুষকে আরও ক্ষুধার্ত করে তোলে। রক্তের স্বাদ পাওয়ার মতো। তবে সব কিছু সম্ভব হয়েছে দলের সদস্যদের জন্য। তাঁদের আত্মত্যাগে। তাই এই জয়ের মুহূর্ত দলের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইলেন পরিচালক।
সিদ্ধার্থের দাবি, ছবির কোনও ভাষা নেই। সীমা নেই। তাঁর কথায়, ‘‘সিনেমা মানুষকে সংযুক্ত করে। অসীম ছুঁতে পারে। কোনও বাধা নেই। পাঠান এর ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মানুষকেও নিখাদ বিনোদন দিতে পেরেছে ছবিটি, যা ভেবেই ভাল লাগছে।’’
এ দিকে শাহরুখ, দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম অভিনীত ‘পাঠান’ শুরু থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বয়কটের রব উঠেছিল এ ছবির প্রথম মুক্তি পাওয়া গান ‘বেশরম রং’ নিয়ে। তখনকার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকরা ভেবেছিলেন ‘পাঠান’ দেখতে আসবেন না কেউ। কিন্তু বলিউড আবার প্রমাণ করে দিল, শিল্পের জোর নেতিবাচকতাকেও ছাপিয়ে যায়। ছবির সাফল্য প্রসঙ্গে শাহরুখও বলেন, ‘‘আমি প্রত্যাবর্তন করিনি, ছিলাম। এগিয়ে চলেছি। সকলেই সেটাই করুন। যা শুরু করেছিলেন তা শেষ করুন।’’