শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়েছে। নিন্দুকেরা বলেছিল এই ছবির শুটিং আর শুরুই হবে না। তবে ছবি তৈরির আগে প্রস্তুতি পর্বের বেশ কিছু ঝলক দেখা গিয়েছিল। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল ঘোড়ায় চড়ার অনুশীলন নিতে। কিন্তু এত কিছু পরেও অনেকেই বলেছিলেন ‘দেবী চৌধুরাণী’র শুটিং নাকি বিশ বাঁও জলে। কিন্তু বরাবরই সে কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক। সবটাই যে রটনা সে কথা প্রমাণ করে ছবির শুটিং শুরু করলেন শুভ্রজিৎ। উত্তর কলকাতায় পড়েছে সেট।
প্রথম দিনের শুটিংয়ে উপস্থিত শ্রাবন্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী, দর্শনা বণিক-সহ আরও অনেকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে শুভ্রজিৎ বলেন, “খুব ভাল লাগছে। যাঁদের যেমন ইচ্ছা হয়েছে তেমনটা বলেছে। সে সবে কান দিতে রাজি নই। ভাল লাগছে শুটিং শুরু করেছি। প্রায় সব অভিনেতারাই আছেন। ভাল মতো শুটিংটা হোক এটাই চাইব।” এই ছবিতে দেবী চৌধুরাণীর ভূমিকায় শ্রাবন্তী, ভবানী পাঠকের চরিত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা।
ছবিতে অভিনেতা অভিনেত্রীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন অ্যাকশন ডিরেক্টররা। এ কথা প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই আবার দক্ষিণী ছবির রিমেক বলেছিলেন এই ছবি। এ প্রসঙ্গে পরিচালক আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, “এই ছবি কোনও দক্ষিণী ছবির রিমেক হবে না। এখানে ‘আরআরআর’ বা অন্য ছবির মতো উড়ে উড়ে কালারিপাত্তু করবেন না অভিনেতারা। বরং অনেক রিসার্চ করে বানানো হচ্ছে এই ছবি। আসলে ধনুর্বেদ সংহিতা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ করা হবে। একটা সময় ভারতীয় মার্শাল আর্টকে ধুয়েমুছে শেষ করে ফেলে ব্রিটিশ ও মোগল শাসকেরা। সেটাই ফিরিয়ে আনা হবে আমার ছবিতে। তবে আমার এই ছবির অনুপ্রেরণা হলেন বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক কুরোসাওয়া।”
এত আলোচনার পর ছবির শুটিং শুরু করতে পেরে খুবই খুশি পরিচালক। উত্তেজিত ছবির অভিনেতারাও। ক্ল্যাপস্টিক নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন শুভ্রজিৎ। লেখেন, “যুদ্ধ শুরু।” ২৮ জানুয়ারি গোটা টিম যাবে পুরুলিয়া। সেখানেই হবে ছবির অধিকাংশ দৃশ্যের শুটিং।